সোনারগাঁয়ে সংখ্যালঘূ চাঞ্চলকর তপন হত্যা মামলার আসামী জুয়েলের বিরুদ্ধে মাদক কারবারসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ,থানায় জিডি - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

সোনারগাঁয়ে সংখ্যালঘূ চাঞ্চলকর তপন হত্যা মামলার আসামী জুয়েলের বিরুদ্ধে মাদক কারবারসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ,থানায় জিডি


সোনারগাঁয়ে  সংখ্যালঘূ চাঞ্চলকর তপন হত্যা মামলার আসামী জুয়েলের বিরুদ্ধে মাদক কারবারসহ  নানা অপকর্মের অভিযোগ,থানায় জিডি 





বিশেষ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁয়ে চাঞ্চল্যকর সংখ্যালঘূ তপন হত্যা মামলার আসামী মো. জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক কারবারি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। এ মামলা থেকে জামিনে  এসে  বৈদ্যেরবাজার সাতভাইয়াপাড়া নিজ এলাকায় একটি সিন্ডেকেট তৈরী করে গড়ে তুলেছে অপরাধের স্বর্গরাজ্য মাদক নিয়ন্ত্রন।





তপন হত্যা মামলার আসামী জুয়েল সদ্য প্রত্যাহার সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইদুল ইসলামের সঙ্গে ছবি তুলে ফেইজবুকে ছড়িয়ে দিয়ে  এলাকায় নানা অপকর্মে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। এসব অপর্মের সচিত্র প্রতিবেদন করায় নুরনবী নামের এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসী জুয়েল।





এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক নুরনবী জনি বাদি হয়ে জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে শনিবার বিকালে সোনারগাঁ থানায় একটি জিডি করেছেন। নানা অপকর্মের হোতা জুয়েল সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
 
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে,উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউপির সাতভাইয়াপাড়া গ্রামের  গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. জুয়েল তার বাহিনীর সদস্যদের  নানা কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী পক্ষে প্রতিবাদ  করতো একই গ্রামের  সংখ্যালঘূ পরিবারের লক্ষণ চন্দ্র বর্মার ছেলে  তপন চন্দ্র  বর্মা। তারপর তপনকে বৈদ্যেরবাজার এলাকায়  প্রকাশ্যে কুপিয়ে  হত্যা করে জুয়েল তার  সন্ত্রাসী বাহিনী। এ হত্যা মামলায় কিছুদিন গাঢাকা  দিয়ে থাকলেও সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইদুল ইসলামের সঙ্গে গোপনে সখ্যতা গড়ে তুলে জুয়েল। এ গোপন সংখ্যতা এক পর্যায়ে জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়।  ইউএনও সাইদুল ইসলামের সঙ্গে জুয়েলের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর ফের আলোচনায় ওঠে জুয়েল। 





ইউএনওসহ আরো কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছবি তুলে নিজেকে অন্যভাবে তৈরী নেয়। করোনা  মহামারিতে  জুয়েলের নিয়ন্ত্রণে বেড়ে গেছে মাদকের  ছড়াছড়ি,বেড়ে গেছে অপরাধ প্রবণতা। দুরদুরান্ত থেকে মাদক  সেবনে ও মাদক বেচাকেনায় বাধা দেয়ায় জুয়েল বাহিনীর সদস্যরা হত্যার  চেষ্টার ঘটনাও ঘটিয়েছে এলাকায়। মাদক  নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খল বাহিনীর ভূমিকা থাকলেও, প্রশ্নবিদ্ধ সোনারগাঁও ইউএনও। মাদক কারবারি,হত্যা মামলার আসামী, অবৈধ বালু ব্যবসা  ও তার ছত্রছায়ায় একাধিক মাদক  সেবী ও মাদক ব্যবসায়ী আধিপত্য বিস্তার করে  বলে জানা যায়। এদের মধ্যে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মনারবাগ এলাকার মো. এরশাদ আলীর ছেলে অমিত হাসান মিরাজ,একই এলাকার তার সহযোগী মো. রিফাতের মাদক সেবনের ছবি ও তপন হত্যা মামলার আসামী জুয়েলের সঙ্গে  ইউএনও সাইদুল ইসলামের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর  সোনারগাঁ ইউএনও সাইদুল ইসলাম টাঙ্গাইল সদরে বদলি হন। 





এসব বিষয়ে কয়েকটি গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে জুয়েল মিয়া সোনারগাঁয়ের সাংবাদিক নুর নবী জনিকে  হুমকি দমকি দিয়ে আসছিল। এঘটনায় সাংবাদিক নুরনবী জনি বাদি হয়ে সন্ত্রাসী জুয়েলের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি জিডি করেছেন। এ ঘটনায় জয়েলের সঙ্গে কথা বললে তিনি আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে লাইনটি কেটে দেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭