নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-নারাণয়গঞ্জে আদালতের নির্দেশে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আরো একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
শুক্রবার(২৩ নভেম্বর) দুপুরে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত মো: মুরসালিন আলম (২২) এর পিতা মো: শাহ আলম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করার জন্য আবেদন করলে নারাণয়গঞ্জের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত ৮ এর বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশে মামলাটি দায়ের করা হয়।
গুলিতে মারাত্মক আহত মুরসালিন আলম রুপগঞ্জের তারাব পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের যাত্রামুড়ার দিঘী বরার এলাকার শাহ আলমের পুত্র।
আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আহত মুরসালিন আলমকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় প্রধান আসামী করা হয় শেখ হাসিনাকে।
এই মামলায় অন্যান্য আসামি হিসেবে সাবেক ২. আসাদুজ্জামান কামাল (৬০), (সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী),পিতা আশরাফ আলী খান, সাং-মনিপুরিপাড়া, খানা-তেঁজগাও, ঢাকা। ৩ . ওবায়দুল কাদের (৬০), (সাবেক সেতু মন্ত্রী), পিতা- মোশারফ হোসেন, সাং-রাজাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, জেলা- নোয়াখালী, ৪. জাহাঙ্গীর কবির নানক (৬০), (সাবেক মন্ত্রী), সাং- মোহাম্মদপুর, ঢাকা। ৫. মাহবুবুর রহমান হানিফ (৬০), (যুগ্ম সাধারন সম্পাদক), বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। ৬. মোঃ শামীম ওসমান (৫৫), সাবেক সংসদ সদস্য নারায়নগঞ্জ-৪ আসন, পিতা-মৃত এ.কে. এম সামছুজ্জোহা, চাষাড়া, থানা ও জেলা-নারায়নগঞ্জ। ৭. মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু (৫২), সাবেক সদস্য নারায়নগঞ্জ আসন-৩, নারায়নগঞ্জ। থানা-আড়াইহাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৮. মোঃ সেলিম ওসমান (৬০), সাবেক সদস্য নারায়নগঞ্জ-৫ আসন, থানা ও জেলা-নারায়নগঞ্জ। ৯. শাহ নিজাম (৫২) পিতা-শাহ নুরুদ্দিন, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক, নারায়নগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ, নারায়নঞ্জ। ১০. আজমেরী ওসমান (৫০), পিতা-নাসিম ওসমান, সাং- হীরামঞ্জিল, থানা ও জেলা-নারায়নগঞ্জ। ১১. অয়ন ওসমান (৪০), পিতা শামীম ওসমান, সাং-হীরা মঞ্জিল, থানা ও জেলা-নারায়নগঞ্জ। ১২. মোঃ ইসহাক (৫০), সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ফতুল্লা থানা। ১৩. মোঃ ইলিয়াছ, ফতুল্লা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা, থানা- ফতুল্লা, নারায়গঞ্জ। ১৪. হাজী রুকুনদ্দিন মেম্বার (৫৬), সদস্য ৬নং ওয়ার্ড, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ। ১৫. খোকন সাহা (৫৬) সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, নারায়নগঞ্জ মহানগর, ১৬. রিয়েল চন্দ্র মোদক (৪৫), পিতা-মৃত হরিপদ মোদক, সাং-৩৪ নং পশ্চিম দেওভোগ, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ১৭. ফরিদা (৬৫), পিতা-আঃ রহমান, স্বামী-খাজা মহিউদ্দিন, সদস্য মহিলা আওয়ামীলীগন, নারায়নগঞ্জ জেলা। ১৮. ডালিম (৪৫), পিতা-আইয়ুব আলী, ১৯. বাচ্চু (৫০), পিতা-আইয়ুব আলী, ২০. সলিম (৪৮), পিতা-আইয়ুব আলী, সদস্য আওয়ামীলীগ, সর্ব সাং-লাল খাঁ, কুতুবপুর, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ২১. সজল (৫০), পিতা-ইবু হোসেন, ২২. সাইফুল (৩৩), পিতা-ইনু হোসেন, ২৩. সাদ্দাম (৪৮) পিতা-ইবু হোসেন, সদস্য আওয়ামীলীগ, সর্ব সাং-লালশী, কুতুবপুর, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ২৪. হাশেম (৫৫), পিতা-আরফান, সদস্য আওয়ামীলীগ, লাং- রামারবাগ, কুতুবপুর, খানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ২৫. ইবু (৬২), পিতা-শুকুকুর মুন্সী, সদস্য আওয়ামীলীগ, সাং- লাল খা, কুতুবপুর, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ২৬. রহিম বাদশা (৫৮), পিতা-জমির আলী, সদস্য আওয়ামীলীগ, সাং-রামারবাগ, কুতুবপুর, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ২৭. ডিবি হারুন (৫০) পিতা-অজ্ঞাত, (সাবেক ডিবি প্রধান) ঢাকা। ২৮. আঃ বারেক ওরফে আল আমিন (৪০), পিতা আব্দুল হাই। সদস্য আওয়ামীলীগ, কুতুবপুর, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ২৯. রোশন আলী (৫২), পিতা আনছার আলী, সদস্য আওয়ামীলীগ, কুতুবপুর, খানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ৩০. ফরিদ আহম্মদ লিটন (৪৮), সভাপতি-স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ফতুল্লা ইউনিয়ন, নারায়নগঞ্জ। ৩১. মোঃ সোলেমান (৫০), পিতা-আব্দুল হাই, সদস্য আওয়ামীলীগ, কুতুবপুর, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ৩২. তাহের আলী (৫২), মাদক ব্যবসায়ী, পিতা-লেহজালী, সদস্য আওয়ামীলীগ, সাং-রামারবাগ, কুতুবপুর, থানা- ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ৩৩. আব্দুল মালেক (৫০), পিতা-খবির মুন্সী, সাং-শহিদনগর, সদস্য যুবলীগ কুতষপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কুতুবপুর, নারায়নগঞ্জ। ৩৪. আব্দুল খালেক, পিতা-খবির মুন্সী, সাং-শহিদনগর, সদস্য আওয়ামীলীগ, কুতুবপুর, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।৩৫. মজিবর (৫৫), পিতা-লাল মিয়া, লালখা, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ৩৬. সাদ্দাম (৩৫), পিতা-সালাহ উদ্দিন, সদস্য কুতুবপুর, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ৩৭. হাজী জসিম উদ্দিন (৬০) পিতা-মালু চেয়ারম্যান, সভাপতি, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ৩৮. সাদ্দাম (৩৫), পিতা-অজ্ঞাত, পাগলা নাক কাটা বাড়ী, সদস্য আওয়ামীলীগ, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।৩৯. ইলিয়াছ (৪৫), পিতা আব্দুল মান্নান, দস্য আওয়ামীলীগ, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ৪০. ফরিদ উদ্দিন (৫৫), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-দক্ষিন শিয়াচর, বায়তুল ফালাহ মসজিদের পাশে। ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ৪১. জসিম উদ্দিন (৫০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-দক্ষিন শিয়াচর, বায়তুল ফালাহ মসজিদের পাশে। ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ৪২. নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সাং- কুইগড়, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ সদর। ৪৩. মোঃ জহিরুল আলম ভুইয়া (৫০), পিতা মৃত মোবারক। হোসেন, ৪৪. বিল্লাল হোসেন ভুইয়া (৫৮), পিতা-মৃত মোবারক হোসেন, উভয় সাং-পূর্ব শাহাপুর, থানা-বরুরা, কুমিল্লা, ৪৫. শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি, পিতা-জামাল তোতা, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক ৪৬. মোশারফ ওমর, চেয়ারম্যান, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদ, সোনারগা, নারায়নগঞ্জ। ৪৭. বাবুল ওমর বাবু, সোনারগাঁ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সোনারগা, নারায়নগঞ্জ। ৪৮. ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, চেয়ারম্যান, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ, সোনারগা, ৪৯. জাহিদ হাসান জিন্নাহ, চেয়ারম্যান সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদ, সোনারগা, নারায়নগঞ্জ। ৫০. রফিকুল ইসলাম নান্নু, সভাপতি থানা যুবলীগ, সোনারগা, নারায়নগঞ্জ। ৫১. হাসিনা গাজী (৫০) মেয়র, সরাব পৌরসভা, নারায়নগঞ্জ। ৫২. মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন (৪৮), সাধারন সম্পাদক, যুবলীগ রূপগঞ্জ উপজেলা, ৫৩. তোফায়েল আলমাছ (৫২), চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ, গানা-রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ ৫৪. হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ, খানা-রূপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ।৫৫. মিজানুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ, থানা-রূপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ। ৫৬. আবুল কালাম স্বপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক যুবলীগ, থানা-রূপগঞ্জ উপজেলা, ৫৭. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর ৭ নং ওয়ার্ড, তারাব পৌরসভা, খানা-রূপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ। ৫৮. লায়ন আতিক, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, তারাব পৌরসভা, থানা-রূপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ। ৫৯. হাজী আইউব আলী (৫০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং মালিক বিসমিল্লাহ ট্রান্সপোর্ট, সদস্য কুতুব ইউনিয়ন। আওয়ামীলীগ, পাগলা বাজার, কতুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ৬০. মোঃ কালা মিয়া (৫০), মাদক ব্যবসায়ী, পিতা-জুম্মন সরদার, সদস্য কুতুব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, সাং- মারকাজ মসজিদ, নয়ামাটি, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। ৬১. আব্দুল ছালাম (৪৮), মাদক ব্যবসায়ী, পিতা-অজ্ঞাত, সদসা কুতুব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, সাং মারকাজ মসজিদ, নয়ামাটি, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগ পত্রে ।
তথ্য সূত্রে আরও জানা যায়, ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার সাথে সড়কে অবস্থান করছিল মুরসালিন আলম। ওই সময় মামলায় উল্লেখিত আসামীদের গুলি মুরসালিনের কোমড়ে এবং দুই পায়ে বিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুলি মাংসপেশির এক পাশে লেগে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আরও দশ থেকে পনেরো জন গুলিবিদ্ধ হলে আহত মুরসালিনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে পরে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ মুরসালিন এখনো সিএমএইচে চিকিৎসাধিন আছে বলে মামলায় জানান মামলার বাদী শাহ আলম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন