বন্দর প্রতিনিধি ঃ-বন্দরে ছিনতাইকারী চক্রগুলো প্রতিনিয়ত অপরাধ করেও বহাল তবিয়তে। ওরা সমাজের ভদ্রবেশী ভয়ংকর ছিনতাইকারী ও মাদক সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। প্রশাসনের চোখে ধুলা দিতে বিভিন্ন সময়ে বহুরুপ ধারন করে চলে। রাত যত গভীর হয় শুরু হতে থাকে তাদের তান্ডবলীলা।
ছিনতাইকারী ও মাদক সিন্ডিকেটের ৭/৮ জন মিলে পথচারীর গতিরোধ পূর্বক বেধরক মারধরসহ সাথে থাকা নগদ ২৯ হাজার ৫শত টাকা, ১ টি মোবাইল সেটসহ দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় পাভেল গং। ঘটনাটি ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডস্থ বন্দরের কাবিলের মোড় এলাকায় ঘটেছে। এ বিষয়ে আহতের ভাই আদর বাদী হয়ে রাতেই বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সূত্র মতে, বন্দরের বাগবাড়ি এলাকার গোলাম মাওলার ছেলে ফজলুল হক মিশু(৩০) বোনের জন্য শহরের কালীরবাজার হতে দেড় ভরি ওজনের চেইন ও কানের দুল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রিক্সাযোগে আসছিল। কাবিলের মোড় এলাকায় আসলেই মাদক ব্যবসায়ী রসুলবাগ এলাকার হাবুইল্লার ছেলে পাভেল ওরফে নাডা পাভেল, আক্তার মিয়ার ছেলে মমিন, নজরুল ইসলাম নজুর ছেলে শিপন, ইয়ারুফ মিয়ার ছেলে রাফিন, মিদুল, ফাহিম ও শান্ত মিলে মিশুকে আটক করে। তাদের হাতে থাকা লাঠিশোঠা দিয়ে ফজলুল হক মিশুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় মিশুর সাথে থাকা রিয়েল মি -৯১ একটা মোবাইল সেট, নগদ ২৯ হাজার ৫শ টাকা ও বোনের জন্য আনা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনতাইকারী ও মাদক সিন্ডিকেটের মূল সেল্টারদাতা একাধিক মাদক মামলার আসামী নাডা পাভেল। এ সিন্ডিকেটটি নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডের কাবিলের মোড়, কলেজ গেইট, জামালসোপ, আরসিম, বাগানের গেইট এলাকায় সংঘবদ্ধ ভাবে মাদক ব্যবসাসহ ছিনতাই করে থাকে বলে একাধিক প্রমানসহ অভিযোগ রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ১২ টার দিকে বাগবাড়ি এলাকার ফজলুল হক মিশুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে সাথে থাকা সকল কিছু নিয়ে চলে যায় এবং কাউকে কিছু বললে প্রাননাশের হুমকি দেয়। আহত ফজলুল হক মিশুকে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই এ ঘটনায় বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আহতের ভাই আদর মিয়া বাদী বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ছিনতাইকারী ও মাদক সিন্ডিকেটটি ২৩ নং ওর্য়াডবাসীর জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওরা সমাজের ভদ্রবেশী ভয়ংকর একটি সিন্ডিকেট। প্রতিজনের বিরুদ্ধেই থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের সাথে সুইচ গিয়ারসহ বিভিন্ন প্রকার দাঁড়ালো অস্ত্র থাকে। চক্রটির বিরুদ্ধে বন্দর থানা পুলিশের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন