মোঃ নুর নবী জনিঃ-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পূর্ব শত্রুতা জের ধরে রেহেন ওরফে রায়হান (২২) নামে এক যুবককে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টায় উপজেলার বৈদ্যোর বাজার ইউপির হামছাদী এলাকার হামছাদী জামে মসজিদ এর পিছনে এ ঘটনা ঘটায় অভিযুক্তরা।
এ ঘটনায় রেহানের মাতা মাজেদা বেগম বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যাহার মামলার নাম্বার ৩২/৪১৯। মামলার আসামিরা হলেনঃ- নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যোর বাজার ইউনিয়নের হামসাদি গ্রামের মৃত গোফরানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ও ২১ জেলা,থানা ও গ্রামের মোন্নান এর ছেলে জাবেদ (২৫) সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৮ টায় বৈদ্যোর বাজার ইউপির হামছাদী এলাকার মমিনের ছেলেকে আসামী দেলোয়ার ও জাবেদ পথরোধ করে হামসাদি জামে মসজিদ এর পিছনে বিলের পাশে নিয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লাঠী সোঠা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া তাহাকে এলোপাতারি ভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ১নং আসামী দেলোয়ার তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া রেহানের ডান চোখে ঘাই মারিয়া কাটা রক্তাত গুরতর জখম করে ও ২নং আসমী জাবেদ রেহানের গলা চেপে ধরে স্বাশরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করেন। এসময় রেহান এর চিৎকার শুনে মাজেদা ও তার মেয়ে এগিয়ে গেলে দেলোয়ার ও জাবেদ সহ অজ্ঞাত হামলাকারীরা রেহান ও তার মা বোনকে মারপিট করে পরিহিত জামাকাপড় টানা হেছড়া করিয়া শ্রীলতাহানি করে মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়া যায়। পরে তাদের ডাকচিৎকার শুনিয়া আশেপাশের লোকজন আত্মীয়-স্বজন এগিয়ে গিয়েনউদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ ব্যাপারে আহত রেহানের মা মাজেদা বলেন,পূর্ব বিরোধের ও ১নং আসামী দেলোয়ারের স্ত্রীর উশৃঙ্খল জীবন যাপন ও পর পুরুষের সাথে দেখিয়া ফেলায় আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যেই সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে দ্রুত এদের গ্রেপ্তার করে এবং আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি করছি।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন