রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা-গোলাকান্দাইল এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের দুই পাশে গড়ে তোলা অবৈধ দোকানপাট, গোলাকান্দাইল গোলচক্করসহ বাজার ও দোকানপাট থেকে মাসে ৭৫ লাখ টাকা চাঁদা তুলার অভিযোগ উঠেছে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে। হিসাব মতে প্রতিদিন আড়াই লাখ টাকা ।
ছোট বড় এক হাজার ফুটপাতের দোকান থেকে ২৫০ টাকা করে আড়াই লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মহাসড়কের ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযান না করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ।
এলাকাবাসী জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল হক এখানে যোগদানের পর একবার মহাসড়ক পরিস্কারে ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযান করেন৷ এরপর আর কোন অভিযান না করায় সড়কের দুই-তৃতীয়াংশ দখল করলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
অভিযোগ রয়েছে, অভিযানকালে প্রভাবশালীদের তদবিরে ফুটপাতের কিছু কিছু অংশ উচ্ছেদ করা হয়নি। ফুটপাত ব্যবসায়ীরা জানান এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। ওই হিসাব মতে মাসে চাঁদা হয় প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। আর এ চাঁদার টাকা উঠানো হয় উপজেলা প্রশাসন, ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি, ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প ও দলীয় নেতাকর্মীদের নামে। এরপর আবার চোর-পুলিশ খেলানো হয় এসব নিরীহ ফুটপাত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। যারা চাঁদা আদায় করে তারা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। শুধু তাই না হাইওয়ে পুলিশ এএসআই রুবেল এর মাধ্যমে শত শত গাড়ি মান্থলি চলছে নিষিদ্ধ যানবাহন ।
ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ি, ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প ও দলীয় নেতাকর্মীরা তা অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই নাঈম বলেন আমি নতুন এসেছি আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন