সিদ্ধিরগঞ্জে কাউন্সিলর আনোয়ারের সহযোগী টুটুল ফেন্সিডিলসহ ডিবির হাতে গ্রেফতার - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সিদ্ধিরগঞ্জে কাউন্সিলর আনোয়ারের সহযোগী টুটুল ফেন্সিডিলসহ ডিবির হাতে গ্রেফতার


সিদ্ধিরগঞ্জে কাউন্সিলর আনোয়ারের সহযোগী টুটুল ফেন্সিডিলসহ ডিবির হাতে গ্রেফতার


সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ইভটিজার ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ডাকঢোল পিটিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের সহযোগী টুটুল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার হয়েছে। 


গতকাল বুধবার রাতে ডিবি পুলিশ ১০০ বোতল ফেনসিডিলসহ টুটুলকে গ্রেফতার করে।


 এতে সিদ্ধিরগঞ্জে তুমুল আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। যিনি মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন তিনিই গোপনে মাদকের সেল্টার দিচ্ছেন। তার কাছে আশ্রয় নিচ্ছে সন্ত্রাসী, চাদাবাজি আর মাদক ব্যবসায়ীরা।


গত শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার নিজ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন কাউন্সিলর আনোয়ার।


ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকরা দেখেন মাদক,সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার আয়োজন করা হলেও সেখানে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।


এছাড়াও মানবন্ধনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একাধিক মামলার আসামি, চাঁদাবাজ ও বিএনপির ক্যাডার সন্ত্রাসী নুরউদ্দিনসহ বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের সেল্টারে নানা অপকর্মে লিপ্ত একাধিক যুবক। যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকয় শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাপক তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে ১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের ছত্রছায়ায় দিব্বি মাদক সেবন, মাদক কারবারি, চোরাই অটো রিকশা কেনা-বেচা, সাধারণ মানুষের জমি দখল চেষ্টা, ইন্টারনেট ব্যবসা দখল চেষ্টা, চাঁদাবাজি সহ নানা অপরাধ মুলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে টুটুল, জাকির, মাসুম, পরাণ, ওমর হাসান, রিপন সহ কিছু যুবক। নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ারের সেল্টারে তারা এসব অপরাধমূলক কর্মকা- করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাদের অভিযোগ ও পত্রিকার সংবাদ প্রকাশের ফলে অবশেষে চিহ্নিত মাদক কারবারী টুটুলকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। অন্যান্যদেরও গ্রেফতারের তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।


জানা যায়, লিয়ন এবং মাসুদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সেই সুবাদে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর আনোয়ারের পক্ষে সক্রিয় ছিল টটুল, জাকির, মাসুম, মনির, ওমর হাসান, পরান ও তাদের সহযোগীরা। সেই থেকে তারা কাউন্সিলরের লোক হিসেবে পরিচিতি পায়। নির্বাচনের পর থেকে তারা তাদের অপকর্মে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মাদক সেবন, মাদক সরবরাহ, চোরাই অটো রিকশা কেনা-বেচা, জমি দখলের চেষ্টা ও পায়তারা সহ নানা ধরনের অপকর্ম পরিচালনার অভিযোগ এলাকাবাসীর। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ আত্মসাত ও চাঁদাবাজির অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।


এছাড়া মাসুদের বিরুদ্ধেও সাধারণ মানুষের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে মাসুদ  সিআইখোলা এলাকায় মাল্টিপার্পাসের ব্যাবসা শুরু করে। সেই সুবাদে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করে। পরে সাধারণ মানুষের সেই অর্থ ফেরত না দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যায় মাসুদ। দীর্ঘ সময় বিদেশে থেকে দেশে ফিরে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সক্রিয় হয় সে। ওমর হাসান মিজমিজি কালুহাজী রোড এলাকায় এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর ব্যবসায়িক এলাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিজের ব্যবসায়িক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঐ ব্যবসায়ী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রশানের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭