সোনারগাঁয়ে নির্বাচনী প্রতিহিংসায়,উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা

সোনারগাঁয়ে নির্বাচনী প্রতিহিংসায়,উদোর পিন্ডি  বুদোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা

সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈদ্যের বাজার  ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ই ডিসেম্বর রোববার মধ্য রাতে উপজেলার আনন্দবাজার দামোদরদী এলাকায়। 

নৌকা প্রার্থী আল আমিন সরকারের বড় ভাই বাচ্চু সরকার বাদী হয়ে সোমবার সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্টিত হবে।

জানা যায়,রোববার মধ্য রাতে কে বা কাহারা  নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করে। আগুনে বাঁশের তৈরি নৌকা প্রতীকসহ ক্যাম্প পুড়ে যায়।

বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবী হোসেন বলেন,রোববার বিকেলে দামোদরদী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব সরকারের সমর্থকরা উঠান  বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব সরকারের সমর্থক জাবির,আল আমিন,রুহুল আমিন,আমির,কবির, মাজহারুল,মাহবুল ও গোলজার বিভিন্ন উষ্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পর রাতে ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, সতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব সরকারের উঠান বৈঠকে উস্কানিমূলক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তৃতীয় কোন পক্ষ ফায়দা হাসিল করার উদ্দেশ্যে রাতের আধারে ক্যাম্পে আগুন দিয়ে পুড়ায়। 

আল-আমিন সরকার গত নির্বাচনেও জয় লাভ করতে পারেনি,এবারও জয় লাভ করতে না পারার আশংকায় নিজেরাই নিজেদের ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা করছে বলে জানান। এলাকাবাসী আরো জানান একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে আল-আমিন সরকারের মতো লোক কখনো চেয়ারম্যান হতে পারবেনা তা গত নির্বাচন’ই তার সাক্ষী।

নৌকা প্রার্থী আল আমিন সরকার বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব সরকার ও আবদুর রউফের সমর্থকরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুর রউফ বলেন, নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা নিজেরাই ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে আমার সমর্থকদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব সরকার জানান,আমার সমর্থকরা আগুন দেওয়ার সঙ্গে জড়িত না। তৃতীয় কোন পক্ষ নির্বাচনে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে এ কাজ করতে পারে। আমি নিজে আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্যাম্প পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। উত্তেজনা হতে পারে বলে পুলিশের পরামর্শে আমি ফেরত এসেছি।নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্যই তারা এ কাজটি করেছেন। 

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে  প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।