মামুনুল কান্ডে সোনারগাঁয়ে আরোও এক হেফাজত কর্মী গ্রেফতার
আজকের সংবাদ ডেক্সঃ মামুনুল কান্ডে সোনারগাঁয়ে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত দুই মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামি মোঃ সেজান (২৪) নামে এক হেফাজত কর্মী গ্রেফতার।
গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃসেজান বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরকিলিসের ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানাযায়, সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্ধানে সত্যতা পেয়ে শনিবার(৩রা জুলাই)সকাল সারে নয়টায় উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের বৈদ্যেরবাজার লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে সোনারগাঁ থানার এএসআই আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে এএস আই রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
শনিবার পর্যন্ত এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামির সংখ্যা ১১০ জনে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান।তিনি বলেন সিসিটিভির ফুটেজ ও অনুসন্ধানে সত্যতা পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের শনাক্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।
সোনারগাঁ থানার এএসআই আলমগীর জানায়, তাণ্ডব চলাকালে প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্ধানে সত্যতায় দুই মামলার এজাহার নামীয় আসামি মোঃ সেজানকে সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান স্যার এর নির্দেশে,আমার নেতৃত্বে এএসআই রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শনিবার সকালে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের বৈদ্যেরবাজার লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে আটক করা হয়।এ সময় ধৃত আসামি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ সুকৌশলে তাকে ধরতে সক্ষম হই ।ধৃত আসামী সেজানের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় হেফাজতের ২টি মামলাসহ ওয়ারেন্ট ও অন্যান্য ৩টি মামলা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন বলেও জানান তিনি।
গ্রেপ্তারকৃত মোঃ সেজানকে হেফাজতের ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদীর দুই মামলায় ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
হেফাজতের ঘটনায় সোনারগাঁয়ে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও ক্ষতিগ্রস্তরা বাদী হয়ে পাঁচটি মামলা করে। এসব মামলায় ৪৪৬ জনের এজাহারনামীয় নাম উল্লেখ করে মোট ১৮০০ জনকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ: গত ৩রা এপ্রিল সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হাতে অবরুদ্ধ হোন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মামুনুল হক। সেই ঘটনায় মামুনুল হকের সমর্থকরা রয়েল রিসোর্টে ভেতরে ঢুকে পুলিশের উপর হামলা,পুলিশের গাড়ি ও রয়েল রিসোর্ট ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে। এরপর তারা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর, আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস ভাংচুর ও সাংবাদিক উপর হামলাসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরুদ্ধ করে গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় ৭টি মামলা দায়ের করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন