সোনারগাঁয়ে হেফাজতের তান্ডবে ৩টি মামলা,হেফাজতের হামলার আতঙ্কে সাংবাদিকরা
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁয়ে হেফাজতের তান্ডবের পর গত মঙ্গল ও বুধবার ২দিনে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর মধ্যে সোনারগাঁ থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে ২টি ও অপর মামলাটির বাদী হয়েছে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান। সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের মামলায় ভাটির চর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোস্তফাকে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে জেলা আদালতে প্রেরণ করেছে বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান।
২টি মামলায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ প্রায় ৮৩ জনের নাম উল্লেখ সহ ২৫০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী ও অপর মামলায় সাংবাদিক হাবিবুর রহমান ১৭জনের নাম উল্লেখসহ ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ শনিবার সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা।
এসময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা রির্সোটে হামলা ভাংচুর ও তান্ডব চালিয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে রাতেই উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার শ্বশুর বাড়ি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনির বাড়ি-ঘরে ও স্থানীয় সাংবাদিকদের উপর হেফাজত কর্মীরা ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
এঘটনার দুই দিন পর হেফাজকর্মীরা স্থানীয় সংবাদ কর্মী হাবীবের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ সাংবাদিককে সামজিক ভাবে লাঞ্চিত করে ফেসবুকে পরে ফেসবুক লাইভ বন্ধ করে দিয়ে মারধর করে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।
এদিকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তাসহ স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মীর বাড়িঘরে দফায় দফায় হেফাজত, জামাত-শিবির কর্মীরা মহড়া দিতে থাকে এমনকি তাদের মোবাইলে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমুতে কল এবং ম্যাসেজ দিয়ে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা যায়।
তিনটি মামলা হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার তদন্ত অফিসার খন্দকার তবিদুর রহমান বলেন গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর ও যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় আরো একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.jpeg)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন