মানব পাচারকারী ভুমি দস্যু ও সন্ত্রাসী ফারুক গ্রেফতার
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ সোনারগাঁয়ের ভাটিবন্দর গ্রাম থেকে মানব পাচারকারী ভুমি দস্যু ও সন্ত্রাসী ফারুককে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। তার নামে ডজন খানেক মামলা রয়েছে। সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান ফারুকের গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোববার(১৫ই ডিসেম্বর)ভোররাতে অভিযান চালিয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ভুমি দস্যু ও সন্ত্রাসী ফারুককে নারী পাচার মামলায় গ্রেফতার করেছে বলে সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা যায়। সন্ত্রাসী ফারুক ভাটীবন্দর গ্রামের নুরা বেপারীর ছেলে সে দীর্ঘদিন ধরে আদম ব্যবসার নামে মানব পাচার করে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
সুত্রমতে, ওমর ফারুক মানব পাচারের পাশা পাশি বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবতী নারী এনে ইউনিক প্রোপার্টিজের ভরাটকৃত ভালু মহলে টিনের তৈরী ঘরে রাতব্যাপী যুবতীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করায় এবং সুযোগ বুজে নারীদের বিদেশে পাচার করে দেয়। এই অবৈধ কাজে বাধা দেওয়ায় ভাটিবন্দর গ্রামের আইয়ুব আলীকে গত ১১/১২/১৯ইং তারিখে ফারুক গং মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে জানা যায়।
আরও জানা যায়, গত ০৩/১০/১৯ইং তারিখে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে সোনারগাঁ ইউনো অফিসের সামনে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে।যার সাধারন ডায়েরী নং ৫৬৪। পড়ে তা সোনারগাঁ থানার নন এফ আই আর প্রসিকিউশন নং হয় ৮৭/২০১৯ তারিখ ৩০/১০/১৯। এই ঘটনার জের ধরে ফারুক গং সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে ১৫/১১/১৯ ইং তারিখে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ও চোখে বিষাক্ত ধুলা নিক্ষেপ করে। সোনারগাঁ থানার মামলা নাম্বার ০১ তারিখ ০২/১২/১৯ইং স্বারক নং ৬৫২৭(৩)১ তারিখ ০২/১২/১৯ইং।
আরও জানা যায়, ভাটিবন্দর গ্রামের দিন মজুর ইদ্রীস আলীর ভিটা-বাড়ি দখল করতে গিয়ে নিরীহ ইদ্রীস আলীর পরিবারের ৩/৪ জনকে কুপিয়ে আহত করে। ইদ্রীস আলী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করে। যার নাম্বার ৩০/০৮/২০১৪।
ফারুক গং জোড়-জবরদস্তি করে নিরীহ মানুষের জমিতে বালু ভরাট করে কোম্পানীর কাজ থেকে অনৈতিক ফায়দা লুটছে। এমনি কি মানুষ খুন করে গুম করে দিচ্ছে বলে জানা যায়। তাই এলাকাবাসী মানব-পাচারকারী, ভুমি দস্যু ও সন্ত্রাসী ফারুকের সঠিক বিচারের দাবী করছে।( সূত্র সময়ের চিন্তা ডটকম)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন