মামাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে সন্ত্রাসী শফিকুলের অনৈতিক সম্পর্ক ফাঁস বন্দরে ভাড়াটিয়া গৃহবধূকে নির্যাতন - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯

মামাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে সন্ত্রাসী শফিকুলের অনৈতিক সম্পর্ক ফাঁস বন্দরে ভাড়াটিয়া গৃহবধূকে নির্যাতন


মামাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে সন্ত্রাসী শফিকুলের অনৈতিক সম্পর্ক ফাঁস বন্দরে ভাড়াটিয়া গৃহবধূকে নির্যাতন





আজকের সংবাদ ডেক্সঃ বন্দরে মামাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ফাঁস করে দেয়ায় হেলেনা (৩২) নামের এক ভাড়াটিয়া গৃহববধূর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম বাঁশার। সোমবার রাতে লাঙ্গলবন্দ চিড়ইপাড়া কলোনীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত গৃহবধূ থানায় মামলার প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বিচারের আশ্বাসে মামলা করেনি ওই গৃহবধূ। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ হেলেনা বরগুনা সদর থানার হলদীবাড়িয়া গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ হেলেনা জানান, উপজেলার মুছাপুর ইউপির চিড়ইপাড়া কলোনীতে মৃত ছাত্তার মিয়ার বাড়িতে ৭ বছর যাবত স্বামী-স্ত্রী ও এক শিশু সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বসবাস করে আসছেন । বাড়িওলার ছেলে রনির স্ত্রী জোসনা ও একই এলাকার মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম বাঁশারের বিভিন্ন ধরণের অত্যাচার মূখ বুঝে সহ্য করে হচ্ছে ভাড়াটিয়া হিসাবে। বাড়িওলার ছেলে রনির স্ত্রী জোসনার সঙ্গে ফুফাতো ভাসুর শফিকুল ইসলাম বাঁশারের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের এ সম্পর্কের বিষয়টি কয়েকদিন প্রত্যক্ষ ভাবে ধরা পড়ে। এই নিয়ে রনির স্ত্রী জোসনার সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে বনিবনা হচ্ছিল না। সোমবার দুপুরে রনি ছোট ভাই মানষিক প্রতিবন্ধী জনি আমার স্বামীকে মারধর করে। পরে মারধরের ঘটনায় রনির মায়ের সঙ্গে মনমালন্য হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শফিকুল ইসলাম বাঁশার ও জোসনা আমার ঘরের ভেতরে ডুকে প্রথমে লাঠি দিয়ে এলোপাথারী পিটান। পরে শফিকুল পড়নের থাকা ব্লাউজ টেনে ছিড়ে ফেলে এবং উলঙ্গ করার চেষ্টা কওে শ্লীলতাহানি ঘটনায়। আমার এবং আমার শিশু সন্তানের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে। এর পর বিষয়টি আমার স্বামীকে মোবাইলে অবগত করলে তিনি বাড়িতে এসে পুলিশকে জানান। এ ঘটনায় থানায় মামালার প্রস্তুতি নিলে ঐ মুহুর্তে চেয়ারম্যার মাকসুদ হোসেন লোক মারফত বিচারের আশস্ত করেন। সুষ্ঠ বিচারের আশায় এখনো মামলা করেনি।





এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, শফিকুল ইসলাম বাঁশারের মা স্বামীর সংসার ছেড়ে অন্যত্রে গিয়েছিলেন। ১০-১২ বছর অন্যত্রে বসবাস করে পুনরায় আবার কলোনীতে ফিরে আসেন শফিকুল ইসলাম বাঁশার তার পরিবার। পরে লাঙ্গলবন্দ যোগীপাড়া গ্রামের ঠিকাদার ব্যবসায়ী কাজী মহাসিনকে কুপিয়ে মাথা হাত পা বিচ্ছিন্ন করে নির্মম ভাবে হত্যা করে শফিকুল ও তার সহযোগীরা। এ হত্যা মামলায় জামিনে এসে শফিকুল ইসলাম বাঁশার বনে যায় সন্ত্রাসী। তার পর থেকেই ক্ষমতাশীনদের সেল্টারে শফিকুল কলোনীর নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও নিজ এলাকা কলোনীতে বহু নারী কেলেঙ্কারী অভিযোগ রয়েছে শফিকুলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, শফিকুল ইসলাম বাঁশারের মামাতো ভাই রনি স্ত্রী জোসনার সঙ্গে একই এলাকার মোবারক মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর ধরে শফিকুল ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে গৃহবধূ নাজমাকে মারধর করেছিল। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী মোবারক কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ওই সময়ে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান স্থানীয় ভাবে বিচার সালিশের মাধ্যমে মিমাংসা করে দেয়ার দায়িত্ব দিলেও স্থানীয় মাতববরা শফিকুল ইসলাম বাঁশারকে বিচারে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ওই গৃহবধূ বিচার পায়নি। সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম বাঁশারের এলাকায় কোনো প্রকার বৈধ ব্যবসা বানিজ্য নেই। নারী কেলেঙ্কারী ঘটনায় ৪২ বছরে বয়সেও বিয়ে করতে পারছে না শফিকুল ইসলাম বাঁশার। মামাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে শফিকুল ইসলাম বাঁশার বলেন, গৃহবধূ হেলেনাকে শুধু মাত্র চর থাপ্পর মেরেছি। মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বিচারের দায়িত্ব নিয়েছেন।তবে এ ঘটনা নিয়ে যদি কোনো সাংবাদিক নিউজ করে। তাহলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম বাঁশার।
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি রিসিভ করে নি।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭