আজকের সংবাদ ডট কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ব্যবসায়ী সহ ৪ জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আহত ড্রেজার ব্যবসায়ী নাজমুল আলম শামীম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিগত ১৫/২০ দিন পূর্বে গোয়ালদী এলাকার মৃত হাকিম আলীর ছেলে হানিফ(৫২) এবং হানিফের বোন আনোয়ারার(৪৮) একটি পুকুর ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বালু দিয়ে ভরাট করার চুক্তিবদ্ধ হয়ে কথা অনুযায়ী তা ভরাট করে দেই।এর মাঝে মোট ৪ লাখ টাকা আমাকে তারা পরিশোধ করে কিন্তু বাকি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেই দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।একের পর এক তারিখ দিয়ে টাকা পরিশোধ না করায় গত ১৫-০৫-১৯ ইং তারিখে সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটের দিকে আমি এবং আমার সাথে আরোও ২ জনকে নিয়ে হানিফের বাড়িতে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা বলে পুকুরের চারদিকে ইট দিয়ে ওয়াল করে দিতে হবে তা না হলে আমাদের পাওনা টাকা দিবে না বলে তর্ক করতে থাকে।এক পর্যায় আমি মৌখিক ভাবে প্রতিবাদ করায় হানিফ,তার বোন আনোয়ারা,বোন জামাই বশির(৫৩),বশিরের দুই ছেলে মোবারক(২১) ও কাউসার(১৮) সহ অজ্ঞাত আরোও ৪/৫ জন সন্ত্রাসী একত্রিত হয়ে হাতে লোহাররড,গজারি গাছের মোটা লাঠি, বাশের লাঠি ও ইট পাটকেল নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।এসময় আমাদের কান্নাকাটি শুনে স্থানীয় পৌরসভার কাউন্সিলর রিপন,মাতব্বর মোঃ খালেক প্রধান এবং হযরত আলী সহ কয়েকজন এগিয়ে আসেন।এসময় ১ নং বিবাদী হানিফ একটি গজারী গাছের মোটা কাঠ নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে আমি প্রাণ বাচাঁতে বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করলে আমার হাতে রক্তাক্ত জখম হই।তাদের বাড়িতে থাকার কারণে সবার সম্মুখে আমাকে এবং আমার সঙ্গে থাকা মাইনউদ্দিন সহ অন্যান্যদের মেরে মারাত্নকভাবে আহত করে।
মারামারির ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় মাতব্বর মোঃ খালেক প্রধান বলেন,আমি এবং নাঈম আহমেদ রিপন কমিশনার সময় মতো হানিফার বাড়িতে না গেলে হয়তো তারা নাজমুল আলম শামীম এবং তার সাথের লোকদের মার্ডার করে ফেলতো।পাওনাদার ব্যাক্তিদের টাকা না দিয়ে তাদের উপর হামলা করে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এবং পত্র পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হানিফার ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে হানিফার বাড়ীর প্রতিবেশী মোঃ হযরত আলী বলেন,হানিফার বাড়িতে হৈচৈ শুনে আমি খালেক প্রধান এবং রিপন কমিশনার সহ সেখানে উপস্থিত হয়ে হানিফার লোকদের হাত থেকে পাওনাদার নাজমুল আলম শামীম ও তার লোকদের উদ্ধার করি।আমরা সময় মতো যাওয়ায় হানিফার লোকদের হাত থেকে ব্যবসায়ী শামীম প্রাণে বেঁচে গেছে।এখানে হানিফার বাড়ীর কোন লোক আহত হয়নি।একজন পাওনাদারের উপর এমন হামলা চালানো হানিফা ও তার বোন আনোয়ারার উচিৎ হয়নি।
পরবর্তীতে আহত নাজমুল আলম শামীম ও মাইনুদ্দীনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় সোনারগাঁ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে পাওনাদারদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে উল্টো মিথ্যা গল্প সাজিয়ে থানায় গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে তা বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে হানিফা ও তার পরিবার।এ ঘটনায় একজন সফল পৌরসভা কাউন্সিলরকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায় সারা সোনারগাঁও জুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন