রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল, যুবদলের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ-১ - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫

রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল, যুবদলের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ-১


 নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-


নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও যুবদলের দুপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন৷


মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সালাহ উদ্দিন কাদের জানান৷


পুলিশের একাধিক সদস্য জানান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জায়েদুল ইসলাম বাবু এবং ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেনের অনুসারী কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷

এতে বাদলের ছোট ভাই মামুন হোসেন (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ মাঝিপাড়া এলাকায় মামুনের গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দোকান রয়েছে৷


স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ আরও জানায়, বিকালে মাঝিপাড়া এলাকায় ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন খোকাকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন৷ সেখানে যুবদল নেতা বাদলের অনুসারী কর্মী-সমর্থকরাও ছিলেন৷ ছাত্রলীগ নেতাকে বাদলের বাড়ির দিকে নেওয়ার পথে হামলা চালায় সাবেক ছাত্রদল নেতা জায়েদুল ইসলাম বাবু ও তার লোকজন৷ পরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷


এ সময় সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবু ও সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালান৷ তখন তার ছোট ভাই মামুন গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ করেন যুবদল নেতা বাদল হোসেন৷

তিনি বলেন, বাবু ছাত্রলীগ নেতার পক্ষ নিয়ে আমার বাড়ির সামনে এসে ফায়ার করে৷ আমার ছোট ভাইটার কানে গুলি লেগেছে৷ তারে নিয়া আমরা হাসপাতালে৷ সে রাস্তা দিয়া যাচ্ছিল, তখন বাবু ও তার লোকজন এলাকাবাসীর উপর গুলি চালায়৷


সাবেক ছাত্রদল নেতা জায়েদুল ইসলাম বাবু উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী৷ তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের ভাতিজা৷

যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করেন সাবেক এ ছাত্রদল নেতা৷ তিনি বলেন, “আমি শুনেছি ছাত্রলীগের খোকনকে লোকজন ধরছিল৷ সেখানে গোলাগুলি হইছে৷ কিন্তু আমি সেখানে ছিলাম না৷ আমি বাসায় ছিলাম৷”

স্থানীয়রা জানান, রূপগঞ্জে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে৷ একটি অংশের নেতৃত্ব দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু এবং অপরটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির৷ দিপু ভূঁইয়ার অনুসারী বাদল হোসেনের সঙ্গে কাজী মনিরের অনুসারী বাবুর স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে পুরনো দ্বন্দ্ব রয়েছে৷


এদিকে, সংঘর্ষের পর সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সালাহ উদ্দিন কাদের৷


তিনি বলেন, “সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।”

এ ঘটনায় আহতের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭