মোঃ নুর নবী জনিঃ-দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে রোববার সকালে পুণরায় চালু হলো নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস।
রোববার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অফিসটির উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), উপপরিচালক (পাসপোর্ট), উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (গণপূর্ত) সহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
নবনির্মিত এই অফিস এখন থেকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে পুণরায় পাসপোর্ট সেবা প্রদান শুরু হয়েছে। এতে করে জেলার পাঁচটি উপজেলার সাধারণ মানুষ আবারও নিজ এলাকার মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাতে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে অফিস ভবনসহ ভেতরের সব আসবাবপত্র, প্রযুক্তি যন্ত্রাংশ এবং বিতরণের জন্য প্রস্তুত থাকা প্রায় ৮ হাজার পাসপোর্ট সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় পাসপোর্ট সেবায় চরম ব্যাঘাত ঘটে এবং নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
অগ্নিকাণ্ডের পর সাময়িকভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলার সেবা গ্রহণকারীদের কেরাণীগঞ্জ, নারসিংদী এবং মুন্সিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাঠানো হয়। এতে করে প্রতিদিনের যাতায়াত, ভিড় ও দীর্ঘ সময় অপেক্ষার কারণে সাধারণ মানুষের পাসপোর্ট প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছিল।
অবশেষে দ্রুত পুণর্নির্মাণ কাজ শেষে রোববার ৪ মে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস আবারও চালু হলো। নতুন ভবনটি আগের তুলনায় আরও আধুনিক এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অফিসের ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন এবং গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধির ফলে পাসপোর্ট সেবা আগের চেয়ে আরও সহজ ও দ্রুততর হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে।
উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, পাসপোর্ট অফিসে কোনো প্রকার দালালচক্রের স্থান হবে না আমি সকলকে অনুরোধ করি, কেউ যেন দালালের আশ্রয় না নেয়। আমরা পাসপোর্ট সেবাকে শতভাগ স্বচ্ছ ও হয়রানিমুক্ত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কোথাও দালালচক্রের উপস্থিতি বা কার্যকলাপের খবর পাওয়া মাত্রই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
স্থানীয় জনগণ ও সেবা প্রত্যাশীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং দীর্ঘদিন পর নিজ এলাকায় পাসপোর্ট সেবা ফিরে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন