নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুনের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবীতে মানববন্ধন - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুনের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবীতে মানববন্ধন


সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বহুল আলোচিত ৭ খুন মামলায় হাইকোর্টের বহালকৃত ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবীতে মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজনরা। 

শুক্রবার সকাল ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিহদের পরিবাররের স্বজনরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা  অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ও বিচার বিভাগের কাছে হত্যাকারীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবী জানান।

স্বামী হত্যার বিচারের দাবী জানিয়ে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, আমরা আমাদের স্বজনদের হারিয়েছি ১১ বছর পার হয়ে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্ট খুনিদের ফাঁসি দেয়নি। বিচার বিভাগ ও অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের কাছে আমাদের একটাই দাবী আমাদের ৭ টা পরিবারের কথা চিন্তা করে বিচার কার্যক্রম শেষ করা হোক। আইন উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান আমরা সাতটা পরিবার কর্তা হারা হয়েছি। আমাদের অবস্থা বিবেচনা করে সুপ্রীম কোর্টের বিচার কার্যক্রম শেষ করে দ্রুত মামলাটা নিষ্পত্তি করা হোক।

নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সামছুন নাহার নুপুর বলেন, আমার স্বামীর হত্যাকান্ডের সময় আমার মেয়ে গর্ভে ছিল। এখন আমার মেয়ের বয়স ১১ বছর। অথচ এখন পর্যন্ত  আমার মেয়ে তার পিতা হত্যার বিচার পায়নি। উচ্চ আদালতে মামলা ঝুলে রয়েছে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সাবেক কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটি, জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সামছুন নাহার, নজরুলের ভাই সালাম, নিহত তাজুলের বাবা আবুল খায়ের, মিজানুর রহমান, আহসান উল্লাহ মাষ্টার, খালেক, জালাল উদ্দিন, হারুন, নাসির উদ্দিন ও মাও. সিহাবসহ প্রমূখ।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে নিহত তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা এবং আরেক নিহত আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ মোট ৭জন গুম হন। গুম হবার পরবর্তীতে ঘটনার ৩ দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নিখোঁজদের মৃতদের ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত চন্দন কুমার সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার বিচারিক প্রক্রিয়া বর্তমানে সুপ্রীম কোর্টে চলমান রয়েছে। হাইকোর্ট সংঘটিত হত্যার আসামীদের ফাঁসির রায় বহাল রেখে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭