নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচিতে হাজারো ছাত্র-জনতা পথে নেমে এসেছে। এতে শহর ও শহরতলীতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে৷
এরমধ্যে ভাংচুর করা হয়েছে চাষাঢ়ায় রাইফেলস্ ক্লাব, পুলিশ বক্স, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয় এবং প্রধান ফটকের সামনে নির্মিত থিম্প পার্ক এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,রবিবার বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সকাল থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী নারায়ণগঞ্জ শহরের রাস্তায় নেমে এসে অবস্থান নেয় চাষাড়ার গোল চত্তরসহ আশপাশে। শান্তিপূর্ণভাবে তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এদিকে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিক্ষোভ করতে করতে লিংক রোড প্রদক্ষিন করে নতুন কোর্ট এলাকায় যায়। তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এসময় জেলা প্রশাসকের প্রধান ফটকের সামনে নির্মিত থিম্প পার্ক ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। ভাংচুর করে বেশ কয়েকটি গাড়ি। এছাড়া ঢিল ছুড়ে কার্যালয়ের গ্লাস ভাংচুর করে।
এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসক ও আদালতপাড়ার প্রধান ফটক ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে পুলিশ প্রশাসনের উপরেও হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কাঁদানেগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। প্রায় আধাঘন্টা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ঘ চলে। এই সংঘর্ষে পথচারী, পুলিশ, আন্দোলনকারীসহ অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যালয়ের সামনে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
এর আগে ফতুল্লার কুতুবআইলে কয়েকটি কারখানা ভাংচুর করে বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর চাঁনমারী এলাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সময়ে চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানা যায় । জেলা পরিষদের মেইন গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। আন্দোলনকারীরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন