রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ সমর্থিত রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব ও রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হোসন ভুঁইয়া রানু প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন। অন্য সকল প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় ও ক্যাসিনোকান্ডের সেলিম প্রধানের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাবিবুল কাদির তমাল, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আইনজীবী স্বপন ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হারেজ, স্থানীয় তাঁতীলীগ নেতা রাসেল আহমেদ। এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তিন বারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়ন মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী জান্নাত রুমা ও স্থানীয় যুব মহিলালীগ নেত্রী তানিয়া সুলতানা। এছাড়া দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগের কারনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলোচিত অনলাইন ক্যাসিনোকান্ডের সেলিম প্রধানের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। সে কারনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানন আবু হোসন ভুঁইয়া রানু চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের পুত্র রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামীলীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় -স্বজনদেরও প্রার্থী হতে নিষেধ করেছেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় কোন্দল নিরসন এবং নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। পিতা-মাতা জন্মদাতা হলেও রাজনৈতিকভাবে দলীয় নেতার সিদ্ধান্তই আমার কাছে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ও দলীয় শৃঙ্খলা মেনে আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি।
রূপগঞ্জ উপজেলার বেশ ক’জন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তির মধ্যে। রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বেশ ক’জন নেতা বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের দিক থেকে রূপগঞ্জ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সমর্র্থিত প্রার্থী আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিবকে ভোটাররা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে বলে আমরা মনে করি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা পরাজিত হয়েছিলো। এবারের নির্বাচনেও তারা পরাজিত হবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাজাল্লী ইসলাম বলেন, এবারের রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৪২টি। পুরুষ ভোটার ২ লক্ষ ৫১ জন, মহিলা ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৫৪জন ও হিজড়া ২ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৬০৭ জন। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ২মে প্রতীক বরাদ্দ ও ২১মে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন