সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-নারায়গঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডের হীরাঝিল আবাসিক এলাকার চিটাগাংরোড কাসসাফ সুপার মার্কেট সংলগ্ন সেতুটি ভেঙে খালে পড়ার ৪ দিন পার হলেও শুরু হয়নি সংস্কার কাজ। ফলে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এ সড়কটি বন্ধ থাকায় হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এর আগে গত বুধবার সেতুটি অর্ধেক অংশ ভেঙে গিয়ে ডিএনডি খালে পড়ে যায়।ফলে দুই পাড়ের জনগণের আসা যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। এর আশপাশে আর কোনো সেতু না থাকায় পথচারী থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। পথচারীদের অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরেই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কিন্তু তখন সেতুটি সংস্কার কিংবা নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে গত বছরের শেষের দিকে সেতুটির কয়েকটি পিলার ভেঙে গেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে সাময়িকভাবে সংস্কার করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই সেতুটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন থেকেই সেতুটি যেকোনো সময় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে এবং শিমরাইল মোড়ের মার্কেটের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ১১ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে। সেতুটি দিয়ে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করতো। এছাড়া খাল পারাপারের জন্য কাছাকাছি কোনো সেতু না থাকায় আশপাশের ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল এ সেতু দিয়ে আনা নেওয়া করতো। ফলে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় হীরাঝিল এলাকার সঙ্গে শিমরাইলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাজল মিয়া জানান, সেতুটি দিয়ে এলাকাবাসী মার্কেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে যেতাম। কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় অনেক ঘুরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। আমরা কোনোভাবে যেতে পারলেও নারী ও বৃদ্ধদের জন্য এটি অনেক কষ্টের বিষয়।কাসসাফ সপিং সেন্টারের দোকান মালিক হাবিবুর রহমান জানান,গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি ভেঙে পড়ার পর থেকে দোকানে ক্রেতা কমে গেছে।কারণ ওই পাড়ের লোকজন এখন সহজে এপাড়ে আসতে পারেনা।তাই আমরা ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক ভাবে সংকটে পড়েছি । কবির হোসেন নামের এক কাপড়ের ব্যবসায়ী জানান, হীরাঝিল আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর রোডে একাধিক গোডাউন রয়েছে। এই গোডাউন থেকে মালামাল মার্কেটে এনে ব্যবসা করি। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।তাছাড়া বিকল্প কোন রাস্তাও সিটি করপোরেশন তৈরী করছে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন