সোনারগাঁয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

সোনারগাঁয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত


মোঃ নুর নবী জনিঃ-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন ও সোনারগাঁ উপজেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে সোনারগাঁ পৌরসভার চিলারবাগ এলাকায় বিজয় স্তম্ভে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভার মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় ।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপন দেবনাথ'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সামছুল ইসলাম ভূঁইয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইব্রাহীম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, সোনারগাঁ থানার ওসি ( ভারপ্রাপ্ত) মহসিন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা শেষে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোনারগাঁ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এন এম ইয়াছিনুল হাবিব তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রধান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার, উপজেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ, সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম ইমাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত ওসমান সরকার রিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েতুল ইসলাম শিপন, সদস্য নির্মূল সাহা,সাংবাদিক মোঃ নুর নবী জনিসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

উল্লেখ্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র দু'দিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে কেবল ঢাকা শহরেই প্রায় ১৫০ জন বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন পেশার কৃতী মানুষকে চোখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরদিন সকালে ঢাকার মিরপুরের ডোবা-নালা ও রায়েরবাজার ইটখোলায় বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় বুদ্ধিজীবীদের নিথর দেহ। কারও শরীর বুলেটবিদ্ধ, কারও বা অমানুষিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত। হাত পেছনে বেঁধে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নাড়িভুঁড়িও বের করে ফেলা হয়েছিল অনেকেরই। বাঙালি জাতির দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রামে এসব বুদ্ধিজীবী নিজেদের মেধা, মনন ও লেখনীর মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। দেখিয়েছেন মুক্তির পথ। গোটা জাতিকেও উদ্দীপ্ত করেছেন অধিকার আদায়ের সংগ্রামে।

১৪ ডিসেম্বরকে বুদ্ধিজীবীদের নিধনযজ্ঞের শিকারের দিন হিসেবে স্মরণ করা হলেও মূলত ১০ ডিসেম্বর থেকেই ইতিহাসের এ ঘৃণ্যতম অপকর্মের সূচনা হয়। সপ্তাহজুড়ে এদের তালিকায় একে একে উঠে আসে অসংখ্য বুদ্ধিদীপ্ত সাহসী মানুষের নাম। 

পরে কৃতী এসব বুদ্ধিজীবীর তালিকাই তুলে দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর সশস্ত্র ক্যাডার গ্রুপ কুখ্যাত আলবদর ও আলশামস বাহিনীর হাতে। নেপথ্যে ছিল পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা রাও ফরমান আলী। মূলত ১০ ডিসেম্বর থেকেই রাতের আঁধারে তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে চোখ বেঁধে রায়েরবাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা শুরু হয়। আর এ অপকর্মের চূড়ান্ত নীলনকশারই বাস্তবায়ন ঘটে ১৪ ডিসেম্বর। তার পর থেকে ১৪ ডিসেম্বর দেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন হয়ে আসছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭