বন্দরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাবুকে নির্যাতনের অভিযোগ এএসআই লাভুর বিরুদ্ধে - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩

বন্দরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাবুকে নির্যাতনের অভিযোগ এএসআই লাভুর বিরুদ্ধে


বন্দর প্রতিনিধিঃ
বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবু পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত হয়ে আশরাফুল ইসলাম বাবু সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড প্রো- অ্যাকটিভ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই লাভু। 

গত ১৬ আগস্ট দিবাগত রাতে সোনাকান্দা পানি ট্যাংকির সামনে  এ ঘটনা ঘটে।

আহতের ভাই মঞ্জিল জানান, ১৬ আগস্ট রাত ২ টার দিকে আমার ভাই বাড়ীর সামনে দাড়িয়েছিল তখন সন্দোহভাজন আটক করে বেধড়ক মারধর করে পিস্তলের বাট দিয়ে। পরে পুলিশ দুই লাখ টাকা দাবী করলে দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমার ভাইকে ইচ্ছেমত পিটাইছে। ডাকচিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে দাওয়া দিলে তাকে মাটিতে ফেলে পুলিশ পালিয়ে। তাদের উদ্ধার করে এলাকায় একটি ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার ভাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ফেরত পাঠিয়ে দিলে রাতে বাড়ীতে নিয়ে আসি এবং রাতে নাগ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলাম কিন্তু থানায় আমাদের অভিযোগ নেয়নি। 

পুলিশি নির্যাতনের শিকার আশরাফুল আলম বাবু জানান, ১৬ আগস্ট রাত ২ টায় সোনাকান্দা মোড়ে খিচুড়ি রান্নার কাজ চলতে থাকে। সেখান থেকে আমার বন্ধুদের রেখে আমি বাড়ীর সামনে এসে দাড়ালে একটি ছেলে পুলিশের গাড়ি দেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তখন পুলিশ সিএনজি থেকে নেমে আমাকে ধরে রাস্তায় ফেলে পিটান শুরু করে এবং দুই লাখ টাকা দাবী করে। আমি পুলিশকে বারবার বলেছি ১৫ আগস্ট উপলক্ষে দড়িসোনাকান্দা মোড়ে খিচুড়ি রান্না করতেছে সেখান থেকে আসছি। সেচ্ছাসেবকলীগের খালেক ভাইসহ সেখানে বসে আছে কিন্তু পুলিশ আমার কোন কথা শুনে না। আমি চিৎকার করলে আমাকে আরও মারধর করে, যখন আশেপাশের লোকজন আসলে আমাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় পুলিশ।  

তিনি আরও জানান, আমি ছাত্রলীগ করতাম কিন্তু আমি অবহেলিত, বিএনপির আমলে আমি মামলা পর্যন্ত খেয়েছি। এই যে দল ক্ষমতায় রয়েছে আমি যাবৎ চারআনাও পাইনি। আমাদের পরিবাবের ভয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে শুয়েছিলাম কিন্তু অবস্থা খুব খারাপ হতে থাকে, নাগ দিয়ে রক্ত বের হয়। আমি খানপুর হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছি,আমি মুরগীর ব্যবসা করি। গতকালও নাগ দিয়ে ঝড় ঝড় করে রক্ত বের হয়। আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়, ডাক্তার বলছে নাগের রগ ছিড়ে গেছে এবং হাড্ডি ভেঙে যায়। 

মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই লাভু এ নির্যাতনের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, থানায় ওয়ারেন্টের আসামি রেখে যাওয়ার সময় সোনাকান্দা পানির ট্যাংকির সামনে পৌঁছলে আমাদের গাড়ি দেখে আশরাফুল ইসলাম বাবু দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় লোহার গেইটে বাড়ী খেয়ে পড়ে গেলে নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। পরে আমার সঙ্গে থাকা পুলিশ তাকে ধরে জিঙ্গেসা করলে স্থানীয়রা এসে তাকে নিয়ে যায়। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি এবং তার কাছ থেকে কোন টাকা চাওয়া হয়নি। 

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭