বন্দর প্রতিনিধি: বন্দর বিএনপির নেতা আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে ভুয়া ওয়ারিশের কাগজপত্র দিয়ে হতদরিদ্রের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আব্দুল মান্নান নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওতাধীন ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির বিদ্রোহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
ভুক্তভোগী পরিবারটি বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করে প্রতিকার পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবাররা জানান, বন্দর কৃষ্ণপুর মৌজার একরামপুর ও সিএসডি চক এলাকায় নাঈমুউদ্দিন ও কলিমুউদ্দিনের ৩০ শতাংশ ক্রয়কৃত সম্পত্তি গত ১৮/২০ বছর ধরে জবরদখল করে রেখেছে ওই বিএনপি নেতা। তিনি সাবেক এক চেয়ারম্যানের প্রভাব দেখিয়ে দীর্ঘ ১৮/২০ বছর যাবৎ আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল করে রেখেছে। আমাদের বিভিন্ন সময় প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, নাঈমুউদ্দিন ও কলিমুউদ্দিনের ক্রয়কৃত ৩০ শতাংশ জায়গা ভুয়া ওয়ারিশের কাগজপত্র দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। নিরীহ লোকের সম্পত্তি এভাবে দখল নিলেও কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। বিএনপির ওই নেতা সাবেক এক চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের সেল্টারে চলে, যার কারণে কেউ প্রতিবাদ করেনা। নিরীহ ওই ব্যাক্তিদের নামে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করে থাকে।
স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিএনপির নেতা আব্দুল মান্নান নিরীহ লোকের জায়গা দখল সহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। কিছু হলেই তিনি এসপি অফিস সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে দেন। তার নামে বন্দরে নাশকতা সহ একাধিক মামলা রয়েছে কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করে আওয়ামীলীগের অনেক নেতাদেরও হয়রানী করে।
জমি দখলের বিষয়ে জানতে চেয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির বিদ্রোহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো তুলেছে তা মিথ্যে, ২০১৩ সালে নঈমুউদ্দিন আদালতে একটি মামলা করেন সেই মামলায় আদালত থেকে আমরা রায় পেয়েছি। এছাড়াও ১৯৬০ সালে নঈমিুউদ্দিন নিজেই এই জায়গাটি বিক্রি করেছে, সে এখন কভিাবে দাবি করে। তারা তো আইন আদালতও মানে না। কিছুদিন আগে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের জায়গায় জোরপূর্বক সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। আমাদের জায়গার কাগজপত্র সবই ঠিক আছে, আপনি চাইলে কাগজপত্র দেখতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন