আজকের সংবাদ ডেক্সঃ-আপনার সন্তান কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছে কিনা খেয়াল রাখুন। জড়িয়ে পড়লে তাদের সংশোধন করুন। পুলিশ কিশোরগ্যাংয়ের তালিকা তৈরি করছে। তালিকায় আপনার সন্তানের নাম অন্তর্ভুক্ত হলে পরবর্তীতে কোন অবস্থাতেই তার নাম প্রত্যাহার করা হবে না। তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কিশোর অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
যথাযোগ্য পরিবারিক ও ধর্মীয় শিক্ষার অভাবের কারনে আপনার সন্তান কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা এমন কোনো অপরাধ নেই যা করছে না। খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকসেবন ও কেনাবেচা এবং ইভটিজিংয়ের মতো অপরাধে জড়াচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় গ্যাং তৈরি করে এ ধরনের অপরাধ করে বেড়াচ্ছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গোহাট্টা বাইতুল মামুর জামে মসজিদে জুমার নামাজের খুতবার পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, কিশোর গ্যাং, মাদকদ্রব্য, ইভটিজিং এবং বাল্যবিবাহ রোধকল্পে সচেতনতা মূলক বক্তব্যে সোনারগাঁ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আহসান উল্লাহ এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, যেসব দ্রব্য গ্রহণের ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে এবং ঐসব দ্রব্যের প্রতি নির্ভরশীলতা সৃষ্টি হয়, পাশাপাশি সেসব দ্রব্য গ্রহণের পরিমাণ ক্রমশই বাড়তে থাকে, এমন দ্রব্যসমূহকে মাদকদ্রব্য বলে। আর কোনো ব্যক্তির এরূপ অবস্থাকে বলে মাদকাসক্তি।
সুতরাং এ কথা বলাই বাহুল্য যে, মাদকাসক্তি বিষয়ক যেকোনো আলোচনায় দেশের শিশু-কিশোরদের কীভাবে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে নিরাপদ রাখা যায়, তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এবং অবশ্যই, শিশু-কিশোরদের মাদকসেবন থেকে বিরত রাখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বাবা-মা।
আপনি যদি একজন বাবা হয়ে থাকেন এবং আপনার ছেলে বা মেয়ে সন্তান থাকে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে, তারা কোনোভাবে মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে।
যেকোনো বিষয়ে শিশু-কিশোরদের সচেতন করতে বা তাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ উপায় হলো সোজাসুজি, খোলামেলা তাদের সঙ্গে ওই প্রসঙ্গে কথা বলা। আপনার শিশু বা কিশোর বয়সী সন্তান যদি মাদকসেবী না-ও হয়, কিন্তু আপনি তার ভবিষ্যতের ব্যাপারে চিন্তিত হন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে হবে। তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে সিগারেট, অ্যালকোহল ও অন্যান্য নেশাদ্রব্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
একবার আলাপচারিতার মাধ্যমে আপনার সন্তান পুরোপুরি মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে ক্ষতিকারক দিক বুঝতে না পারে। প্রয়োজনে বেশ কয়েকবার কথোপকথনে অংশ নিবেন।
একান্ত প্রয়োজন ছাড়া আপনার সন্তানকে সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে যেতে দিবেন না। স্কুল- কলেজে সঠিকভাবে ক্লাস করছে কি-না এবং মাদকাসক্ত কারো সাথে মেলামেশা করছে কি-না সে দিকে খেয়াল রাখুন। সকল অপরাধের মূলে হচ্ছে মাদক,মাদকসেবীরা মাদক সেবন করে চুরি ডাকাতি ছিনতাই ধর্ষণ সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত পড়ছে।
যে কোনো মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
পুলিশের একার পক্ষে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নির্মূল করা সম্ভব নয়। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নির্মূলে আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করছি আপনাদের সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমাদের সহযোগিতা করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন