চেয়ারম্যান পদও হারাতে পারেন লায়ন বাবুল - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

চেয়ারম্যান পদও হারাতে পারেন লায়ন বাবুল


চেয়ারম্যান পদও হারাতে পারেন লায়ন বাবুল


আজকের সংবাদ ডেক্সঃ এক বছরও হয়নি। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বড় দুই নেতা প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে দলীয় পদ হারিয়েছেন। সেই একই পথে হাঁটছেন নারায়য়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার কথিত আওয়ামীলীগ নেতা লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল ওরফে চুম্মা বাবুল। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী বারদী ইউনিয়নে একটি ওয়াজ মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বেফাঁস বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচিত হয়েছেন লায়ন বাবুল। সেখানে তিনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী আসলেও নাকি তার হুকুম লাগবে। সেই বক্তব্যে এখনো দেশব্যাপী বইছে নিন্দার ঝড়।


এদিকে তার চেয়ারম্যান পদ নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। যেকোনো সময় চেয়ারম্যান পদও হারাতে পারেন। এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনাও শোনা যাচ্ছে। ফলে সব হারিয়ে নিশূন্য হয়ে যেতে পারেন লায়ন বাবুল। এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ইতিামধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের দেয়া অব্যাহতি বহাল রেখে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এ বিষয়ে সাতদিনের মধ্যে কারণ দেখানোর শোকজ দিয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা আওয়ামীলীগ ডিসি-এসপি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিবে বলেও জানায় জেলা আওয়ামীলীগ।


তবে, এসব ঘটনায় সরকার ও তৃনমূলের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিব্রত ও অস্বস্তিতে পড়ে। এ ধরনের একজনকে দলে রাখা হবে কি-না তা নিয়ে চলছে জেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা ও গুঞ্জন।


আওয়ামীলীগের নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লায়ন বাবুল যে বক্তব্য দিয়েছেন সে প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননা করেছেন এবং আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র এবং শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এজন্য তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। কারণ দর্শানো নোটিশ যদি সন্তোষজনক না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ আরোপ করা হবে। অন্যদিকে শুধু দলীয় পদ নয় চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।


রাজনীতি বোদ্ধারা বলছেন, এদের কাছে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক দর্শন নয়। বরং আওয়ামীলীগ সরকার হলো তাদের মিথ্যা লেবাসে ক্ষমতা পাওয়ার সিড়ি। আর এ সিড়ি যে কোন ভাবে নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় এলে তাদের জীবনের ভোগ বিলাস বাড়বে বরং কমবে না। তাই কালক্ষেপন না করে দলের নাম আর মুজিব কোর্ট পড়া এসব আগাছাকে উপছে ফেলার দিকে দুষ্ঠি দেওয়াটা বুচিত সরকার সত্যিকারের নেতাকর্মীদের।



দলের সূত্র জানায়, এদিকে লায়ন বাবুল দল থেকে বহিষ্কার ও তার চেয়ারম্যানশীপ ঠেকাতে অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে ম্যানেজ মিশনে নেমেছেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভুমিকা সেই গুঞ্জন অনেকটা সত্যে রূপ নিচ্ছেন। ফেব্রুয়ারি এক সুপারিশ না করে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব নিয়ে শোকজ করা হয়। এই এক সপ্তাহ যে ৫২ সপ্তাহেও শেষ হবে না সেটা বুঝা যাচ্ছে। মুলত বাবুলকে বহিস্কার থেকে বাঁচাতে শোকজ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। আবার পরদিনই বাবুলকে নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের কর্মসূচি পালনে বিষয়টি পরিস্কার। একইভাবে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই যখন জেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে বাবুলের গ্রেফতার দাবিতে ডিসি এসপি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করলো তখন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল উল্টো স্মারকলিপির বিরোধীতা করে বক্তব্য রাখেন মিডিয়াতে। এতেও বাবুলকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয় । ফলে বাবুল ইতিমধ্যে অনেকেই ম্যানেজ করে ফেলেছেন সেটা বুঝা যায়।


সূত্র আরও জানায়, আওয়ামী লীগের নামধারি এই নেতা লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল পোশাক কারখানা চাকুরি ছাড়ার পর ১০/১২ বছরে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে কোটি টাকার মালিক বনে যান। সর্বমহলে আলোচনা ও সমালোচনার পাত্র হয়েছেন তিনি। ঢাকায় বনশ্রীতে বহুতল ভবন, ইসলামপুরের চায়না মার্কেটে ৫ টি দোকান ও তার নিজ গ্রামে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন একটি বহুতল ভবন। তাদের এসব অর্থের দাপটে ২০১৬ সালে বারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে সালাউদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে বারদী ইউনিয়নে নির্বাচন পরিচালনা করেন এ পরিবার এবং তার ভাই জসিম উদ্দিন বিএনপির নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক ভাগিয়ে নেয়ার জন্য লায়ন বাবুল নিজেকে নৌকা প্রতীক মনোনয়ন প্রত্যাশি হিসেবে জেলার প্রভাবশালীদের সঙ্গে ম্যানেজ এবং জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে লবিংও করেছেন। জেলার এক প্রভাবশালী সাংসদের ছায়া রয়েছেও তার উপর। যার কারণে তিনি এবার ওই ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সুত্র: (নারায়ণগঞ্জ টুডে)।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭