সোনারগাঁয়ে প্রবাসীকে মুরগি চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

সোনারগাঁয়ে প্রবাসীকে মুরগি চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ


সোনারগাঁয়ে প্রবাসীকে মুরগি চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ


সোনারগাঁ প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ভাইদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে স্থানীয় মেম্বারের সহযোগিতায় সৌদি আরব প্রবাসী মো. ফারুক মিয়া ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকেও মুরগি চুরির মিথ্যা মামলার শিকার এবং তাকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রবাসী মো. ফারুক মিয়া মামলাটি সুষ্ট তদন্তের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দপ্তরে লিখিত আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

গতকাল বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চান্দেরপাড় এলাকার মৃত সোনা মিয়ার বড় ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী মো. ফারুক মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জানান, তিনি দীর্ঘ ২১ বছর সৌদি আরবে কাজ করে তার বাবার নামে ৩৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেছিলেন। বিদেশে থাকাকালিন তার বাবা মারা যাওয়ার পর সেই জায়গার উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হয় তিনিসহ ৬ ভাই ও ৩ বোন। পরে সেই জায়গায় সকলে মিলে একটি যৌথ মুরগির খামার নির্মাণ করে পোল্ট্রি ব্যবসা শুরু করেন। চলতি বছরের গত ২৩ জুন প্রবাসী মো. ফারুক মিয়া দেশে আসেন এবং সেই জায়গা ভাগ ভাটোয়ারা করার কথা থাকলেও কোয়ারেন্টাইনে থাকায় তা বিলম্ব হয়। ওই জায়গার ভাগ ভাটোয়ারাকে কেন্দ্র করেই তার ছোট ভাই মো. আব্দুল হকের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) স্থানীয় বারদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার দাইয়ানের সহযোগিতায় ষড়ষন্ত্রমূলক মুরগি চুরি ও শ্লীলতাহানির মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ও তার আরেক ছোট ভাই মো. আমির হোসেন এবং তার মামা মো. হাবিব উল্লাহকে। পরে সোনারগাঁও থানা এক এসআই অজ্ঞাত কারণে, ঘটনাস্থলে কোন তদন্ত না করেই গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করে। এ সময় পুলিশের কথা শুনে ভয় পেয়ে প্রবাসী মো. ফারুক হোসেন ঘরের দরজা না খুলে বন্ধ করে রাখেন। এ সময় বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হলে দরজা খুলে দেয়। পরে পুলিশ তাকে ও তার ছোট ভাই মো. আমির হোসেনকে আটক করে টেনেহিচরে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় দাইয়ান মেম্বার আটককৃত প্রবাসী মো. ফারুক মিয়াকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রী মোসাঃ কনিকা আক্তারের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। 

পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত থেকে প্রবাসী মো. ফারুক মিয়া জামিনে মুক্ত হলেও তার ছোট ভাই মো. আমির হোসেন মিথ্যা মামলায় এখনো কারাগারে রয়েছে।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ওই এসআই তার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। 

অন্যদিকে বারদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দাইয়ান মেম্বার তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এদিকে মামলার বাদি মোসা. নাজমা আক্তারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি কিছুই জানি না, মামলার বিষয়ে যা বলার দাইয়ান মেম্ববার বলবে। আমাকে কোন কথা বলতে নিষেধ করেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭