নয়াগাঁওয়ে হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সাদেক গ্রুপের হামলা,ভাংচুর,লুটপাট,আহত-১০

নয়াগাঁওয়ে হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সাদেক গ্রুপের হামলা, ভাংচুর,লুটপাট,আহত-১০

আজকের সংবাদ ডেক্সঃ- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সমর আলী ও দ্বীন ইসলাম হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে এসে আবারোও হাজী আলাউদ্দিনের লোকজন ও বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর, লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, এসময় হামলা ভাংচুরের ঘটনায়  প্রায় ১০জন আহত।

রোববার(২৩মে) দুপুরে দুপক্ষের লোকজন পূর্বের হত্যাকান্ড নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় সাদেক গ্রুপ হাজী আলাউদ্দিন গ্রুপের লোকজনের বাড়ি ঘরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় হাজী আলাউদ্দিন গ্রুপের প্রায় ১০জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় আলাউদ্দিন পক্ষের মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী রাতে আলাউদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার সাদেকুর রহমান ওরফে সাদেক মোল্লার আধিপত্য বিস্তার ও একটি কোম্পানির বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দ্বন্ধ চলে আসছে।বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে সাদেকুর ও আলাউদ্দিন দুপক্ষের লোকজন মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আলাউদ্দিন পক্ষের সমর আলী, জাহিদুল ইসলাম, মাহিল উদ্দিন, মোশারফ, নুর নবী, নিলা, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল আলীসহ ৮ জন, সাদেকুর রহমানের পক্ষের খোরশেদ আলম, সাইদুল ইসলাম, আলী আহম্মেদ, জহিরুল ইসলাম, সুমন, শাকিল, মাহফুজ, ছোট সুমনসহ ১২ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আলাউদ্দিন পক্ষের সমর আলী সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। গত নয় মাসে ওই গ্রামে চারটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার ৪দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আলী আহম্মদ ও ১৩ দিন পর সাইদুল ইসলাম গত ৫ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়াও আলাউদ্দিন পক্ষের দ্বীন ইসলামকে সাদেক পক্ষের লোকজন পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় দুপক্ষের ৫টি মামলা দায়ের করা হয়। দুপক্ষের লোকজনই হত্যা মামলায় আসামী হয়ে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত এপ্রিল মাসে জামিনে আসার পর শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে আবার ও উত্তেজনা।

এদিকে এর জের ধরে রোববার ওই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

এসময় হাজী আলাউদ্দিন গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায় সাদেক গ্রুপ। হামলায় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।এসময় ফেরদৌস,রফিক আলী, দেলোয়ার,ফরিদ আহম্মেদ,খাদিজা,মুক্তাসহ ১০জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৫জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এবিষয়ে হাজী আলাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হামলা চালিয়ে আমার আত্মীয় সমর আলী ও ভাতিজা দ্বীন ইসলামকে সাদেক গ্রুপ কুপিয়ে হত্যা করেছে।আজ সুযোগ বুজে আমাদের লোকজনের বাড়িঘর ও দোকান ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে প্রায় ১০জন কে আহত করে।অপর দিকে সাদেকুর রহমান ওরফে সাদেক মোল্লার সাথে যোগাযোগ এর চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন,নয়াগাঁও গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ নেওয়া হয়েছে,তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।