সোনারগাঁও থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী গোলজার পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

সোনারগাঁও থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী গোলজার পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে


সোনারগাঁও থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী গোলজার পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে    

আজকের সংবাদ ডেক্সঃ বিএনপি জামায়াতের নাশকতাসহ একাাধিক মামলার আসামী ও চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী গোলজার হোসেন পুলিশের হাত থেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। বর্তমানে আওয়ামীলীগের কাঁধে ভর করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলার জামপুর বস্তল এলাকায় সাধারণ কৃষকের জমি জোর পূর্বক দখল করে একটি কোম্পানিকে বুঝিয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের গোলজারের দাপটে এলাকার সাধারণ মানুষসহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরাও অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।

জামপুর ইউনিয়নের ডিস ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বস্তল গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে গোলজার হোসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বে বিএনপির রাজনীতি করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে সরকার বিরোধী কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ওই এলাকায় গাড়ি ভাংচুর, জ্বালাও পোড়াও করেছে এই গোলজার। এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ বাদি হয়ে একাধিক মামলা দায়ের করেছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বস্তল এলাকায় এ্যাম্পিয়ার নামে একটি ষ্টীল কোম্পানির জমি ক্রয়ের দায়িত্ব পায়। জমি ক্রয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। ওই এলাকার কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীকে ম্যানেজ করে কিছু জমি ক্রয়ের পাশাপাশি সরকারি জমিসহ সাধারণ মানুষের জমি জোর পূর্বক দখল করে কোম্পানিকে বুঝিযে দেয় সন্ত্রাসী গোলজার। এ্যাম্পিয়ার ষ্টীল মিলের জমিতে বালু ভরাটের জন্য বিভিন্ন মানুষের বাড়িঘর নষ্ট করে সংযোগ পাইপ বসানোর চেষ্টা করে।

এদিকে যুবলীগ নেতা ডিস আল আমিনের চাচাতো ভাই বাবুল মিয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে ড্রেজারের পাইপ লাইন স্থাপন করার কাজ শুরু করে। বাবুল মিয়ার জায়গা দিয়ে পাইপ লাইন স্থাপন করা নিয়ে গোলজার মিয়ার সাথে তার তর্ক-বির্তক হয়। এক পর্যায়ে এ্যাম্পিয়ার ষ্টীল লিমিটেডের মালিক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ ঘটনার পর শনিবার গোলজার গ্রুপের গোলজার ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাবুলকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে ধাওয়া করে। শুরু হয় দু-গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও গোলজার গ্রুপের লোকজন এসময় বাবুলের নির্মান করা মাছের প্রজেক্টের ঘরকে জুয়ার আসরের ঘর উল্লেখ করে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। খবর পেয়ে তালতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিলাব গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, গত শনিবার বালু ভরাট করার কাজ নিয়ে দু-গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে গোলজার গ্রুপের লোকজন বাবুলের মাছের প্রজেক্টের ঘরকে জুয়া আসরের ঘর উল্লেখ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।

ডিস আল আমিন আরো জানান, গোলজার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে জোরপূর্বক তার আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি-ঘর ও জমি-জমার উপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ স্থাপন করা শুরু করে। এতে ধানের জমি ও বিভিন্ন ফসলী জমি নষ্ট হয়ে যায়। এঘটনার প্রতিবাদ করায় বাবুল মিয়াকে মেরে ফেলার জন্য অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে গোলজার ও তার বাহিনী ধাওয়া হয়। এসময় ধাওয়াকারীরা বাবুলের মাছের প্রজেক্টের পাহাড়া দেয়ার ঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দু’’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সোনারগাঁও থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, এঘটনায় থানায় আল আমিনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭