কামাল মাষ্টার আমাকে মারধর ও অপহরণ করেনি- ইমাম সাইফুল ইসলাম - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০

কামাল মাষ্টার আমাকে মারধর ও অপহরণ করেনি- ইমাম সাইফুল ইসলাম


কামাল মাষ্টার আমাকে মারধর ও অপহরণ করেনি- ইমাম সাইফুল ইসলাম





সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মসজিদের এক ইমামকে মারধরের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বৈদ্যেরবাজার এমএন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয় একটি গণমাধ্যমে। সেই সংবাদ প্রকাশিত হবার পর সেই দিনের ঘটনা সর্ম্পকে গণমাধ্যমে মুখ খুলেন মসজিদের ইমাম সাইফুল ইসলাম।
মুঠোফোনে কথা হলে ইমাম সাইফুল ইসলাম জানান, তাকে কেউ মারধর করেননি, অপরদিকে শিক্ষক কামাল হোসেন ইমামকে মারধর করার ঘটনাটি অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে অপ্রচার করা হচ্ছে দাবি করেন।





উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দৈলরদী গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ইমাম সাইফুল ইসলাম আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার তাকে মারধরের অভিযোগ এনে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয় সেটা সত্য নয়। কামাল মাষ্টার ও তার সহযোগীরা তাকে কোন প্রকার মারধর কিংবা হুমকি প্রদান করেননি। তাকে কামাল মাষ্টার আপ্যায়ন করে সিএনজি করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পথিমধ্যে পনির ভূইয়া ও আতাউর ভুইয়ার সাথে দেখা হলে তাকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় এনে একটি কাগজে তাকে সই করতে বলে। তিনি সই করতে অস্বীকার করলে তারা অনেক চেষ্টার পর কিছু হবে না বলে একটি স্বাক্ষর নেয়।





পরে জানতে তিনি জানতে পারেন সেই কাগজে লেখা হয়েছে কামাল মাষ্টার ও তার লোকজন আমাকে মারধর করেছে এবং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যা মিথ্যা ও বানোয়াট।





আমাকে নিয়ে গ্রামের মধ্যে একটি ষড়যন্ত্র চলছে। কামাল হোসেন ও সাংবাদিক পনিরের মধ্যে অভ্যন্তরিন দ্বন্ধ চলছে। সেই দ্বন্ধে আমাকে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। আমি গতকাল জুম্মার নামাজের সময়ও গ্রামের মুসল্লিদের সামনে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছি। তাদের এ দ্বন্ধ নিয়ে আমি খুবই দুঃচিন্তায় আছি।





এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, আমি বৈদ্যেরবাজার এমএন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। এছাড়া আমি আমার সনমান্দি ইউনিয়নের দৈলরদী গ্রামের পাঞ্চায়েত। আমি এলাকায় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমার এলাকার পনির হোসেন নামের এক বিশেষ পেশার লোক আমার ভাল কাজগুলো মেনে নিতে না পারে না। সে চায় আমার সমকক্ষ হয়ে গ্রামের নেতৃত্ব দিতে কিন্তু সমাজের লোক তাকে অপছন্দ করে। সে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে না পেরে আমাকে দোষারোপ করে।
তিনি আরো বলেন, দেখেন আমি একজন শিক্ষক অথচ তাকে দেখে আপনারাই বলেন। একজন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়ে কি একজন মসজিদের ইমামকে মারধর করতে পারে?


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭