প্রশাসনের চাপে দিনে বাল্যবিয়ে বন্ধ,রাতের আধারে মেয়েকে পাত্রস্থ করলো পরিবার - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০

প্রশাসনের চাপে দিনে বাল্যবিয়ে বন্ধ,রাতের আধারে মেয়েকে পাত্রস্থ করলো পরিবার


প্রশাসনের চাপে দিনে বাল্যবিয়ে বন্ধ,রাতের আধারে মেয়েকে পাত্রস্থ করলো পরিবার





আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল নুনেরটেক গ্রামে বাল্য বিয়ে ঠেকানোই যাচ্ছেনা। প্রশাসনের চাপে দিনে বাল্যবিয়ে বন্ধ হলেও রাতের আধারে মেয়েকে পাত্রস্থ করে মেয়ের পরিবাররা।





মঙ্গলবার গভীর রাতে বাল্য বিয়ের শিকার হন নুনেরটেক স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রী।





বিয়ের খবর জানাজানি হলে,দিনের বেলা উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমা আক্তার মেয়ের বাবা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।মেয়ের বাবা ও নুনেরটেক স্কুলের শিক্ষানুরাগী সদস্য জাকারিয়া সোমবার মেহমানদের খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিদায় করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় প্রশাসনকে। কিন্তু ওইদিন রাতেই বাড়িতে রেজিস্ট্রি ছাড়াই বিয়ে সম্পন্ন করে সিঙ্গাপুর প্রবাসী পাত্রের হাতে তুলে দেন নিজের মেয়েকে।তবে মেয়ের বাবা জাকারিয়ার দাবি, তার মেয়ে স্কুলে অষ্টম শ্রেনীতে পড়লেও তার বয়স ১৭ পার হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক ও ব্যক্তিগত মান সম্মানের কথা ভেবেই তিনি মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।





ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য লোকমান হোসেন ও স্কুল কমিটির সভাপতি আবুল হাসেম এর বিরুদ্ধে। যদিও তারা ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন। তাদের উভয়ের বক্তব্য প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করে দিনের বেলা বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। তবে রাতের আধারে যদি কোন ব্যত্যয় হয়ে থাকে সেটা তাদের জানা নেই।





এব্যাপারে উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমা আক্তার বলেন, গতকাল বিয়ে বন্ধ করে মেয়ের বাবা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কঠোর ভাবে হুশিয়ার করে দেয়া হয়েছে। এরপরেও যদি বিয়ে দিয়ে থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।





উল্লেখ্য, উপজেলা  বারদি ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী জাকারিয়া তার অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছেন এমন খবর পেয়ে উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমা আক্তার তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন। তবে নুনেরটেক নদী বেষ্টিত ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কেউ সরাসরি যেতে পারেননি।





প্রসঙ্গত, গতবছর একই কায়দায় রাতের আধারে জাকারিয়া তার বড় মেয়ে ও ভাতিজীর বাল্য বিয়ে দেন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে জাকারিয়া,স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য লোকমান হোসেন ও স্কুল কমিটির সভাপতি আবুল হাসেমের সহযোগিতায়ই সোনারগাঁয়ের নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল নুনেরটেকের বাল্য বিয়ে ঠেকানো যাচ্ছেনা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭