পুলিশের চাকুরীতে রাত আর দিনের কোন পার্থক্য নেই - অতিঃপুলিশ সুপার খোরশেদ আলম - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

পুলিশের চাকুরীতে রাত আর দিনের কোন পার্থক্য নেই - অতিঃপুলিশ সুপার খোরশেদ আলম


পুলিশের চাকুরীতে রাত আর দিনের কোন পার্থক্য নেই --অতিঃ পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম





আজকের সংবাদ ডেস্কঃ পুলিশের চাকুরীতে রাত আর দিনের কোন পার্থক্য নেই ২৪ ঘন্টাই দায়িত্ব পালনের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়।





তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেখালেন নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) মোঃ খোরশেদ আলম।









সরেজমিনে দেখা যায়,ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল শুধু তাই নয় গভীর রাত অব্ধি হাইওয়ের নিরাপত্তা, যানবাহন সরকারি নির্দেশনার বাইরে কিনা চেকপোস্টে তল্লাশি করে ইন/আউট সিগন্যাল রেডি,তদারকি,নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়।ঢাকার বাইরে থেকে করোনার মহামারীতে কাজ ছাড়া কেহ যেন ঢুকতে না পারে এবং ঢাকা থেকে বাইরে না যায় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছেন যার ফলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সম্ভব। শুধু তাই নয় প্রতিদিন গাড়িতে তল্লাশি করে অযথা কেউ ঢাকায় ঢুকতে চাইলে তাকে ফেরত পাঠানো হয় এবং মাদক নির্মূলে প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি করা হয়।









অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) মোঃ খোরশেদ আলমকে সকালের পাশাপাশি গভীর রাতে দায়িত্ব পালন করতে দেখে আজকের সংবাদ ডটকম এর প্রতিনিধি তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,পুলিশের চাকুরীতে রাত আর দিনের কোন পার্থক্য নেই ২৪ ঘন্টাই দায়িত্ব পালনের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়,রোজা রেখে সারা দিনের পাশাপাশি কখনো গভীর রাত অব্ধি দায়িত্ব পালন করতে হয়। ২৪ ঘণ্টাই এই মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে পণ্য পরিবহন,যাত্রী পরিবহনে ব্যস্ত থাকতে হয়। করোনাভাইরাস যেহেতু সংক্রামক রোগ আর সেটা মানুষে মানুষে ছড়ায়। সেহেতু জনসমাগম এড়ানো, অপ্রয়োজনীয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজটা করতে হয় প্রতিদিন রুটিন চেকাপ হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ত মহাসড়কে থাকতে হয়।
সরকার ঘোষিত জরুরি পরিসেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ইন্টারনেট, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা সংশ্লিষ্ট, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত, ঔষধ শিল্পে জড়িত, খাদ্য ও কৃষি উৎপাদন,পরিবহনসহ আরও কিছু সেবা ব্যতীত অন্য কোন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত করণ কাজে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনে আছি।





অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) মোঃ খোরশেদ আলম আরোও বলেন,বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা ছিল শুরু থেকেই হাইওয়ে কন্ট্রোলের জন্য৷ হাইওয়ে কন্ট্রোল করতে পারলে, সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে করোনা ভাইরাস ঠেকানো সম্ভব।যেহেতু এখন অব্দি এই ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি, সেহেতু এই ভাইরাসের প্রতিকার হিসেবে নিজেদের সতর্কতা অবলম্বন ছাড়া বিকল্প নাই।





ঢাকা রেঞ্জের আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় অভিভাবক, বাংলাদেশ পুলিশের জীবন্ত কিংবদন্তী, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি,জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার),পিপিএম (বার)মহোদয় এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ জায়েদুল আলম,পিপিএম(বার) মহোদয়ের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি।





তিনি আরও বলেন,আপনাদের জরুরি সেবা,খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ অক্লান্ত ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে৷ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দিনের পর দিন এই সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি৷ এক দিনে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ অন্যদিকে মহাসড়ক নিয়ন্ত্রণ। আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না।আপনাদের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। আমাদের কথা না ভাবলেও অন্তত আপনার পরিবারের কথা ভেবে হলেও ঘরে থাকুন। নিরাপদ থাকুন৷ নিজের পরিবারকে নিরাপদ থাকুন।





তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলমের ফেসবুক আইডি থেকে জানাযায়, বিগত ৭টা ঈদ বিভিন্ন হাইওয়ে কেন্দ্রিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাকে। তিনি সাভারে থাকাকালীন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এবং বর্তমানে নারায়গঞ্জ পোস্টিং হবার পর ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে কখনো আবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু তাই নয় তার ফেসবুক আইডি থেকে জানাযায় তিনি বিগত ৬/৭টা ঈদে,রমজানে সব সময়ই এই দায়িত্বটা গুরুত্ব সহকারে পালন করে মহানুভবতার পরিচয় দেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭