অদক্ষ প্রধান শিক্ষকের অবহেলায় হারাতে বসছে শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান
বন্দর প্রতিনিধি :- অদক্ষ প্রধান শিক্ষক আর ম্যানেজিং কমিটির রাজনৈতিক উদাসীনতার কারনে দিন দিন কমে যাচ্ছে শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান। যেখানে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বন্দর-সদর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম সেলিম ওসমান ব্যক্তিগত অর্থে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ধামগড় ইউনিয়স্থ হালুয়াপাড়া এলাকায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়টি নির্মান করেন। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কোন ইন্টারভিউ এবং গ্রহন যোগ্যতা ছাড়াই প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন শামিমা আক্তার মুন্নী। শুরুতে এমপির তদারকি তে কিছুটা ভালো ফলাফল অর্জন করলেও দিন দিন খারাপের পথে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান। গত তিন বছর যাবত জে এস সি ও এস এস সি ফলাফলের অবস্থা শোচনীয়। এ প্লাসের সংখ্যার জায়গা শূন্য। পাশের হার ও অন্যান্য বিদ্যালয়ের চেয়ে নগন্য। যার কারন বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক শামিমা আক্তার মুন্নির অদক্ষতা। যিনি নিজেকে একজন ডিগ্রীধারী শিক্ষক মনে করলে ও আদৌত ইংরেজী, অংক বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ন অজ্ঞ।সহকারী শিক্ষকদের সাথে রয়েছে মনের অমিল।নিজের মনগড়া বাংলা শিক্ষক দিয়ে অংক ইংরেজী আর ইংরেজী শিক্ষক দিয়ে বাংলা ক্লাশ করিয়ে থাকেন। কখনো নিজ ইচ্ছে অনুযায়ী জোড় করে স্বাক্ষর করিয়ে শিক্ষক বিদায় ও নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আবার কখনো মনের অমিল হলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শ্রেনীতে গিয়ে মিথ্যা বদনাম রটায়। কখনো শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট না পড়লে খাতায় নাম্বার কম দিয়ে থাকেন। সারাক্ষন শুধু রাজনৈতিক আলোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করে বলে বিদ্যালয়ে মন বসাতে পারেনা। গত জি এস সি ও এস এস সি পরীক্ষায় এ প্লাশ নেই বললেই চলে। সহকারী শিক্ষকদের হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখে। নিজেকে কখনো আওয়ামীলীগের কোন এক নেতার বোন পরিচয় দিয়ে দাবরিয়ে বেড়ায়। কখনো আবার উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ এর স্ত্রীর কাছের লোক বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। এভাবে দিনের পর দিন অদক্ষ প্রধান শিক্ষক শামিমা আক্তার মুন্নির দৌড়াত্ব চলতে থাকলে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ম্লান হতে থাকবে। সাংসদ সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত অর্থে প্রতিষ্ঠিত শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ স্বার্থকতা নষ্ট হয়ে যাবে। এ অবস্থা নিরসনের জন্য মাননীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম সেলিম ওসমানের সুদৃষ্টি কামনা করছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন