সোনারগাঁয়ে সদ্য জে এ সি পাশকরা এক ছাত্রীকে অপহরণ,থানায় মামলা।
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়ণঞ্জের সোনারগাঁয়ে সদ্য জে এ সি পাশকরা এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা সালমা বেগম বাদী হয়ে জাকির হোসেন(৩৫)কে প্রধান আসামী করে লিটন (৪০),শিরীনা বেগম(৪৫) ও হিমেল(৩২) কেসহ আরোও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বন্দেরা গ্রামের ফয়সাল আহম্মেদের মেয়েকে উত্যক্ত করত একই গ্রামের রফিকের বখাটে ছেলে জাকির,তার হাত থেকে রক্ষায় মেয়েকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তার নানীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জে সেখানে দু'বছর থেকে এ বছর জে এ সি পরিক্ষা দেয়।
পরিক্ষার পর ঐ ছাত্রী পিতার বাড়ি বন্দেরায় বেড়াতে এসেও শেষ রক্ষা পায়নি।পিতার বাড়ীতে বেড়ানোর সুযোগকে কাজে লাগায় বখাটে জাকির হোসেন।গত ৪ জানুয়ারী সকালে ঐ ছাত্রীর পিতা মাতা বাড়ীতে না থাকার সুজগে একদল দুর্বৃত্ত সাথে নিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে সিএনজিতে করে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে জাকির বছর ঘুড়তে না ঘুড়তে আবার ও ইভটিজিং এ জড়িয়ে যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার ওই ছাত্রীকে সুকৌশলে উদ্ধার করে নিয়ে আসে ছাত্রীর মা তার বাড়িতে,বাড়িতে আসার পর পুলিশ খবর পেয়ে ভিকটিম কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে পুলিশ এ সময় অপহরণকারীদের কাউকে আটক করতে পারেনি।
সোনারগাঁ থানার এসআই ইমানুর জানান,এঘটনায় অপহৃতার মা সালমা বেগম বাদি হয়ে ৬ জানুয়ারী সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে,আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ জানুয়ারী সাদিপুর গ্রামের সামসুল হক সুরুজ মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া তার মামাতো বোনকে ইভটিজিং করায় বাধা দেয়,বাধা দেওয়ায় এই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাকে মারাত্মক ভাবে আহত করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টু মিয়া মারা যায়। এ ঘটনার দুদিন পর নিহত মিন্টুর বাবা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, জাকির,শিরীনা,হিমেলসহ আরোও অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন