নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা নদী পথে চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি থামছেনা
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ চাঁদাবাজরা নদী পথে রাতে ও দিনে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। অথচ পুলিশ বলছে এই নৌপথে চাঁদাবাজি হয় না। সোনারগাঁও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির আলোচনা সভায় একাধিক মাসিক নৌ পথে চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়ে কথা আলোচনা হলেও নৌ পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে। ভাল্কহেড চাঁদাবাজরা অবৈধভাবে নদী পথে মালবাহি ভাল্কহেড,ষ্টীলবডি নৌকা,কার্গো থেকে বেপরোয়া ভাবে চাঁদা আদায় করছে। চাঁদাবাজ চক্রটি বছরে প্রায় কয়েক কোটি টাকা চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ নৌপথে যারা চাঁদাবাজি করে তারা খুবই ভয়ঙ্কর, অপ্রতিরোদ্ধ। চাঁদাবাজদের সাথে কতিপয় পুলিশ, সরকার দলের কতিপয় পাতিনেতাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। চাঁদাবাজদের নিষ্ঠুরতা আর মারমুখী হুমকীতে নৌকার মাঝি-চালকরা আতংকিত অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীপথে চলাচল করছেন। এমন তথ্যই জানালেন ভুক্তভোগী মাঝি, চালক ও নৌযানের মালিকরা। ওই নদীপথে ষ্টীলবডি নৌকা, কার্গো, সাধারণ নৌকা গুলো চলাচলের সময় জন মানবহীন ৮-৯টি স্থানে ইঞ্জিন চালিত ছোট নৌকা দিয়ে চাঁদা আদায় করে চলছে সংঘবদ্ধ ওই চাঁদাবাজ চক্রটি। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক নৌকা ও শতাধিক কার্গো থেকে ১ থেকে দেড় হাজার করে টাকা অদায় করা হয় বলে জানান চালক ও মাঝিরা।ভুক্তভোগীরা আরো জানান, চাঁদাবাজদের কথামতো চাঁদা না দিলে মারপিটসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রান নাশের হুমকি দেয়। কার্গোর মাস্টার ও সুকানীরা চাঁদা দিতে বিলম্ব কিংবা অপরাগতা প্রকাশ করলেই শুরু হয় তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন। এমনকি কার্গো ও ভাল্কহেড থেকে তাদের জ্বালানি তেল, খাবার ও পড়নের কাপড় সহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জোড় পূর্বক নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন চালকরা।
চালকদের সাথে কথা হলে এ প্রতিবেদককে কাছে পেয়ে কান্না বিজড়িত কন্ঠে তারা বলেন, সাংবাদিক ভাই “পেট বাঁচাতে আমরা অনেকেই পিঠ পেতে দেই”। অনেক সময় টাকা দিয়েও আমাদের জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও পেটের টানে আর বাচ্চা-কাচ্চার খাওন যোগাতে এই পথে আসতে হয়। পরিবহন মাষ্টার সিদ্দিক মিয়া,লেহাজ উদ্দিন ও রোস্তম বলেন, এখন চাঁদাবাজদের মারপিঠ থেকে বাঁচতে ভয়ে স্থানীয় পুলিশ কে বলতে পারি না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন নৌ পরিবহন চালক জানান, আমির হোসেন,আল আমিন,রুহুল আমিন গংদের লোকজন এখান কার নদী পথে চাঁদাবাজি করে।
সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ(ওসি)আনোয়ার হোসেন বলেন, সোনারগাঁও মেঘনা নদী এরিয়ায় কোন চাঁদাবাজি হয়না,এলাকায় নদী পথে পুলিশ টহল আছে, এখানে নৌ শ্রমিকরা কোন চাঁদা দেয়না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন