জাতীয় পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও সার্বিক বিবেচনায় অদ্যবধি কোনো সময়ে গণতন্ত্রের চর্চা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে ছিল না। এরশাদের সময়ে তুলনামূলক কিছুটা হলেও ভালো ছিল বলে মনে করেন তিনি।
শনিবার ১ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
জিএম কাদের বলেন, গণতন্ত্র না থাকার প্রধান কারণ হচ্ছে সংবিধান। সাংবিধানিকভাবে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সংবিধানে অনেক পরিবর্তন করা হলেও, গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গণতন্ত্র চর্চার সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে প্রায় ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এরশাদ ক্ষমতায় থাকার জন্য পার্টি গঠন করেননি। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্যই পার্টি গঠন করেছিলেন।
ব্যারিস্টার আনিস বলেন, নির্বাচন কমিশন ধংস হয়ে গেছে। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে ইসি পুরোপুরি ব্যর্থ। তিনি বলেন, আবারো ব্যর্থ হবে এমন নির্বাচন কমিশন চায় না তার দল। তিনি বলেন, দেশে ধনী ও গরিবের বৈষম্য বেড়েছে। এরশাদ মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে যে উন্নয়ন করেছে, সে তুলনায় এখন ৫ লাখ কোটি টাকা বাজেটে তেমন কাজ হচ্ছে না।
কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ এখনো এদেশের মানুষের হৃদয়ে আছেন। ১৯৯৬ সালে এরশাদ সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসায়। জাতীয় পার্টি এখন ঐক্যবদ্ধ, জাতীয় পার্টি হচ্ছে দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দল। শত নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের পরও জাতীয় পার্টি মাঠে আছে, আগামীতেও থাকবো। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় না নেয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডবোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, লিয়াকত হোসেন খোকা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের, জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস-চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, জাতীয় যুব সংহতির আবায়ক এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ইব্রাহিম খান জুয়েল।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, নাজমা আক্তার, আলমগীর সিকদার লোটন, মেজর অবসরপ্রাপ্ত রানা মো. সোহেল, উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান, এমএ কুদ্দুস, নুরুল ইসলাম মিলন, ড. নূরুল আজহার শামীম, মনিরুল ইসলাম মিলন, মেহজাবিন মোর্শেদ ইব্রাহিম, নাজনীন সুলতানা, হেনা খান পন্নী, ইসরাফিল খোকন, আমানত হোসেন আমানত, অ্যাডভোকেট লাকি বেগম, ইন্জিনিয়ার মো. সিরাজুল হক ও ডা. রুস্তম আলী ফরাজী।
আলোচনা সভা শেষে জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহবায়ক শেরীফা কাদেরের তত্ত্বাবধানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন