গনধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ইমন খান রিমান্ডে - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০

গনধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ইমন খান রিমান্ডে


গনধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ইমন খান রিমান্ডে





আঃকাদিরঃ নারায়নগন্জে সোনারগাঁ হতে অপহরণ করে বন্ধুদের নিয়ে নিজের স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত স্বামী শাহজালালের পর এবার তার লম্পট বন্ধু ইমন খানকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।





গত ১৬ নভেম্বর সোমবার রাতে বন্দর উপজেলার খানবাড়ী এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। যার মামলা নং ২৭(১০)২০। গ্রেপ্তারকৃত লম্পট ইমন খান ওরফে ইমু (৩২) বন্দর একরামপুর এলাকার হাবিবুর রহমান ওরফে হবির ছেলে।





মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার গ্রেপ্তারকৃত চিহিৃত লম্পট ইমন খান ওরফে ইমুকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে গত ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে ১৮ নভেম্বর বুধবার নারায়ণগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুন এর আদালতে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।





এবিষয়ে কোর্ট পুলিশের এ এস আই ফেরদৌস বলেন,এ মামলার প্রধান আসামী শাহজালালকে দুই দুইবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ মামলার আসামী ইমন খানকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠায়। পরে শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বিজ্ঞ আদালত।





ঘটনার বিবরনে জানা যায়,শাহজালাল এর ২য় স্ত্রী ছিল এ মামলার ভুক্তভোগী গৃহবধূ (৩৫)। বিয়ের কয়েক দিন যেতে না যেতেই লম্পট শাহজালাল তার প্রথম স্ত্রী শারমিনের সাথে যোগাযোগ শুরু করে। ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ভুক্তভোগী নারী শাহজালাল এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করে। বিবাহ বিচ্ছেদ এর পর থেকে শাহজালাল আবার ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয়, কিন্তু ভুক্তভোগী নারী শাহজালালকে বিয়ে করতে অনিহা প্রকাশ করলে গত ১৮ অক্টোবর ভুক্তভোগী নারীকে সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া ব্রীজের নিচে ছলে বলে নিয়ে এসে ঐ নারীকে একটি কালোগ্লাস ওয়ালা সাদা মাইক্রোবাসে তার স্বামী শাহজালাল়়, হাবিব(২৭) পারভেজ (২৯) সহ অজ্ঞাত নামা আরও এক জন হাত পা,চোখ বেঁধে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।





তার দুদিনপর ভুক্তভোগী নারীকে আবার চোখ, হাত পা,বেঁধে সোনারগাঁ টিপরদী কংকা ফ্যাক্টরীর সামনে ফেলে যায়।





পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভূক্তভোগী ঐ নারীকে মুমূর্ষ অবস্থায় রাস্তায় পরে থাকতে দেখে চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠায়। তারপর ধর্ষণের শিকার এই নারীর বড় ভাই সোনারগাঁ থানায় গিয়ে ২২ অক্টোবর ধর্ষন ও নারীশিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭