জামপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিপলুর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা ও কয়েকটি অনলাইনে গত শুক্রবার (২৫সেপ্টেম্বর) ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগসহ অন্যান্য শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
উক্ত সংবাদে আমার বিরুদ্ধে মরহুম আবু হোসেন চৌধুরী সাইদুলের ওয়ারিশ সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রকৃত ঘটনা হল আমি ২০১৬ সালের ২৮শে মে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী লাভ করি। এরপর ২৫শে জুলাই আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ডাক্তার আবু জাফর চৌধুরী বিরুর চাচাতো ভাই আবু হোসেন চৌধুরী সাইদুলের প্রথম স্ত্রী হোসনে আরা ও তার ভাই সাগর চৌধুরি আমার পরিষদে আসে তখন তারা জানায় আবু হোসেন চৌধুরী সাইদুল ২০/০৪/২০১৫ ইং তারিখে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বিথী কে তালাক দিয়েছে।
এ সময় তারা তালাকের কাগজ দেখিয়ে আমার কাছে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাদ দিয়ে আবু হোসেন চৌধুরী সাইদুলের একটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দাবি করে তখন আমি উক্ত তালাকনামা সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্থানীয় কাজী সাজ্জাদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করি, সাজ্জাদ খান জানান তার পূর্বে তার পিতা জীবদ্দশায় যখন কাজী ছিলেন তখন ২০/০৪/২০১৫ইং তারিখে তিনি এই তালাকনামা লিখেছেন।
এটা তার পিতার হাতের লেখা বলে নিশ্চিত করেন কাজী সাজ্জাদ খান।কাজীর বক্তব্য অনুযায়ী তালাকের কাগজ সঠিক ভেবে আমি আবু হোসেন চৌধুরী সাইদুলের দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাদ দিয়ে একটি ওয়ারিশ সনদ দেই।
আবু হোসেন চৌধুরী সাইদুলের প্রথম স্ত্রী হোসনে আরা ও তার ভাই সাগর চৌধুরি আমার কাছে যে তালাকনামা টি উপস্থাপন করেছে। সেটি আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১বছর ৩মাস আগে সম্পাদন করা হয়েছে।
কাজেই ওই তালাকনামার পিছনে আমার ইন্ধন থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না, যদি তা ভুয়া হয় তাহলে সেটা আবু হোসেন চৌধুরী সাইদুলের প্রথম স্ত্রী হোসনে আরা ও তার ভাই সাগর চৌধুরী করেছে। চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সাধ্য অনুযায়ী সেটা সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করেছি কিন্তু এরপরেও আবু হোসেন চৌধুরী সাইদুলের দ্বিতীয় স্ত্রী তালাক নামা কে চ্যালেঞ্জ করে আমাকে আসামি বানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
এরপর আবার প্রথম স্ত্রীর পক্ষ থেকে আমাকে না জানিয়ে অ্যাডভোকেট আলী আহমদ সৈকতকে দিয়ে আমার পক্ষে আদালতে একটি জবাব পেশ করা হয়েছে।যার ফলশ্রুতিতে আদালত আমার বিরুদ্ধে সমন জারি করে।
আমাকে অবগত না করে আমার পক্ষে আদালতে জবাব পেশ করায় আমি ইতিমধ্যে অ্যাডভোকেট আলী আহমেদ সৈকত এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বার কাউন্সিলের লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া হোসনে আরা ও সাগর চৌধুরি পেশ করা আবু হোসেন চৌধুরী তালাকনামা যদি ভুয়া প্রমাণিত হয় তাহলে আমি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো ঘটনাই আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বলে আমি মনে করি তাই আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানাই।
নিবেদক,
হামিম সিকদার শিপলু
চেয়ারম্যান,জামপুর ইউনিয়ন পরিষদ
সোনারগাঁ,নারায়ণগঞ্জ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন