পাল্টে গেছে হাটের চিত্রঃ গরু সংকটে বিপাকে ক্রেতারা,বেপারিদের মুখে হাসি
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ এক হাট থেকে আরেক হাটে ছুটে যাচ্ছেন গরু কেনার জন্য। কিন্তু সব হাটেই এক চিত্র। গরু সংকট। এ যেন চিন্তাভাবনার পুরো উল্টোচিত্র ধারন করেছে পশুর হাটগুলোতে। শেষ মুহুর্তে গরু সংকট দেখা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কোরবানীর অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে।
এতে করে গরুর বেপারীদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেলেও বেকায়দায় পড়েছে ক্রেতা সাধারণ। কোরবানীর জন্য গরু কিনতে গিয়ে চরম দু:চিন্তায় পড়েছেন তারা। কারণ হাটগুলোতে যে পরিমান ক্রেতার ভীড় রয়েছে সে তুলনায় গরুর সংখ্যা একেবারেই কম।
গরুর দাম, করোনার প্রার্দুভাব, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে অনেকেই এবার কোরবানী থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু গরুর দাম কম হওয়ায় অনেকে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসেন। এবং কোরবানীর পশু কিনেন। অন্যদিকে যারা অপেক্ষায় ছিলেন এবার অনেকে কোরবানী দিবে না। তাই গরুর দাম কম হবে শেষ সময়ে তারা এখন হায়হুতাশ করছেন গরুর জন্য।
রাতভর সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া, বৈদ্যোরবাজার,পৌরসভা কাঁচপুরসহ বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা গেছে শত শত ক্রেতা। তবে কোনো হাটেই পর্যাপ্ত পশুর দেখা মেলেনি। দুই-একটি হাটে গরু থাকলেও ছোট গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে তুলনায় বেশি । ক্রেতারা অনেকে তাও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ ক্রেতাই ঢাকামুখী রওয়ানা দিয়েছেন।
গরু কিনতে যাওয়া কাজী নজরুল জানান, কাঁচপুর পশুর হাটে হাটে গিয়ে দেখি অল্প কিছু গরু। প্রচুর ক্রেতা হাটে থাকলেও গরুর সংখ্যা একেবারেই নগন্য।
স্থানীয় সুলতান জানান,কাঁচপুর পশুর হাটে গরু শেষের দিকে। যারা পানি দামে গরুর কেনার অপেক্ষায় ছিলেন তারা এখন গরুর দড়িও পাবেন না।
কাঁচপুর পশুর হাটে ক্রেতার তুলনায় গরু অপ্রতুল। এই হাটের ইজাদারার হা্জ্বী মোঃ বাবুল ওমর জানান, হাটে দুই তিনশত ক্রেতা থাকলেও গরু আছে মাত্র ৩০ থেকে ৪০টা। তার মতে, অনেকেই শেষ সময়ে কম দামে গরু কেনা যাবে এই আশায় ছিল। কিন্তু বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাপকভাবে গরু বিক্রি হয়েছে।
হাটের ব্যাপারী আলী বলেন, আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। তবে গরু বেচাকেনা শুরু হয় দুপুরের পর। সন্ধ্যার মধ্যেই আমরা সব গরু বিক্রি শেষ করে ফেলেছি। এবারের মতো লাভে গরু কখনো বিক্রি করিনি।
এদিকে হাট সংশ্লিষ্ট একাধিক ইজাদার জানান, এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে হাটে গরু কম উঠেছে। অনেক বেপারী গত বছরের তুলনায় এবার গরু কম এনেছে। বন্যার কারণে যাদের সমস্যা তারা প্রথম দিকে অল্প লাভে গরু বিক্রি করে দিয়েছে। ফলে শেষ সময়ে যারা গরু কিনতে আসছে তারা সমস্যায় পড়ে গেছে। কারণ এখন তো আর নতুন করে হাটে গরু আসবে না। বা আনাও সম্ভব নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন