ফতুল্লায় ভূমি অফিসের অভিনব গ্রাহক হয়রাণি
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃনারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভুমি অফিসে গ্রহক হয়রাণি চরমে পৈাঁছেছে। জমির নথি ডিজিটালাইজেশনের নামে সম্প্রতি এতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
গত বিশ বছর ধরে খারিজ করা জমির খাজনা প্রতিবছর নিয়মিত দিয়ে আসলেও সম্প্রতি ভূক্তভুগী গ্রহকরা ভুমি অফিসে গিয়ে দেখতে পান কোন কারণ ও নোটিস ছাড়াই তাদের জমির খারিজ বাতিল করা হয়েছে।
ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযুদ্ধা মো. জামাল মোল্লা জানান, ২০০৫ সালেরও আগে সদর উপজেলা সংলগ্ন তার ৬ শতাংশ জমি খারিজ করার পর থেকে প্রতিবছর নিয়মিত এর খাজনা দিয়ে আসছেন তিনি।
গত ৯ মার্চ যথারীতি ২০১৯ সালের ভুমি খাজনা দিতে গিয়ে দেখেন তাকে কোন ধরনের নোটিস ছাড়াই তার জমির খারিজ বাতিল করা হয়েছে। ডিজিটালভাবে জমির নথি সংরক্ষণ করার জন্য আগের খারিজ বাতিল করে আবার নতুন করে জমি খারিজ করা হচ্ছে।
কিন্তু ভূক্তভুগীদের দাবি, জমির সব তথ্য ভূমি অফিসে থাকার পরও খারিজ বাতিল করে কোন যুক্তিতে এভাবে গ্রাহকদের হয়রাণি শুরু হয়েছে। ভূমি কর্মকর্তারা কেন তাদের ব্যার্থতার দায় এখন গ্রাহকদের ওপর চাপাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা ভূমি অফিসের তহশিলদার জাকারিয়া বলেন, খারিজ বাতিল আমরা করিনা। এটা এসিলেন্ড বলতে পারবে কেন বাতিল করলো। তাছাড়া বাতিল করলে তার অর্ডার নাম্বার নিয়ে নকল তুলে নথি দেখলে বোঝা যাবে কেন বাতিল করলো।
এ বিষয়ে জানার জন্য নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুর রহমানকে একাধিকার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন