সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯

সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত


সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত





আজকের সংবাদ ডেক্সঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামন্ডপে হামলার নাটকিয় ঘটনা ঘটেছে।





উপজেলার জামপুর ইউনিয়ণের পাকুন্ডা গাবতলী এলাকায়  সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু জাফর চৌধূরী বিরু’র সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।





এতে উভয় পক্ষের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।









এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নারায়ণগঞ্জ-খ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম।এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার,সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান,তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আহসান উল্লাহ সহ অন্যান্য পুলিশ অফিসার ও সদস্যরা।





এলাকাবাসী জানান, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় লক্ষী পূজায় দাওয়াত পান ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু ও কায়সার হাসনাতের সমর্থক জামপুর ইউপির সাবেক মেম্বার হুমায়ুন মেম্বার। বুধবার দুপুরে আবু জাফর বিরু ও হুমায়ন মেম্বার তার সমর্থকদের নিয়ে পুজামন্ডপে গেলে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের সমর্থরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে  হুমায়ুন মেম্বারের বড় ছেলে রোমান, শ্যালক রিপন মিয়া, রুবেল, সাজ্জাদ, মোখলেছ, নাজমুল হাসান,কাউসার আহম্মেদ, নাফিন, জাহিদসহ কমপক্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গুরুতর আহত রোমান ও মোখলেছকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।





আওয়ামীলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে কে বা কারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লক্ষী পুজার প্রতীমা ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ঐ পুজা কমিটির সভাপতি হরিসুদন।





সাবেক ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির জানান, আমাকে সহ আমার ছেলেদের এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে আওয়ামিলীগ নেতা ডাঃ বিরুর লোকজন।তারা এখন বিভিন্ন হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্যই কে বা কারা প্রতীমা ভাংচুর করে নাটকীয়তার সৃষ্টি করেছে।





স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,মূলত রাজনৈতিক ভাবে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ঘায়েল করতেই দুপক্ষের মধ্যে এ মারামারির ঘটনা ঘটেছে।এটা কোন সাম্প্রদায়িকতার বিষয় নয়।এখানে প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।





এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার খ-অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম বলেন,ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমি সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ,তালতলা ফাড়ীর ইনচার্জ সহ পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। পূজা মন্ডপে গিয়ে এবং স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম আসলে এটা কোন সাম্প্রদায়িক বিষয়ে হামলার ঘটনা নয়।এটা নিছক উভয় পক্ষের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নেতিবাচক প্রভাব। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।





উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্জন কুমার সরকার বলেন,ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেনো তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।





সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনে আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম মহোদয়ের সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নতুন করে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এটা কোন সাম্প্রদায়িক হামলা নয় এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ঘটনা।





এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং পূজারীদের সান্ত্বনা দিয়ে আর্থিক অনুদান প্রদান করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ বিচার করার আশ্বাস দেন স্থানীয় জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম সিকদার শিপলু।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭