সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুরচর এলাকায় গত ৬ ই আগষ্ট ফারজানা আক্তার নামে এক গৃহবধু হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছে আশেপাশের লোকদের জানিয়ে তার স্বামী কামাল হোসেন ওই গৃহবধুর পিতার বাড়ির লোকজনদের নাজানিয়ে দাফন করার চেষ্টা চালায়।
এসময় মৃত ফারজানা আক্তারের পরিবারের লোকজনের বিষয়টি সন্দেহ হলে সোনারগাঁ থানায় বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোনারগাঁ তালতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত গৃহবধূ ফারজানার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করেন ।
পরে গত ১৭ ই নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে সোনারগাঁ থানায় ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে গত ২৭ শে নভেম্বর বুধবার জামপুর ইউনিয়নের মজমপুর বাজার থেকে বিকেলে মৃত ফারজানা আক্তারের স্বামী কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোনারগাঁ থানার তালতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আশীষ কুমার জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন ও যৌতুক আইনে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুরচর এলাকার মৃত আব্দুন নূরের পুত্র কামাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম,শেখ ফরিদ ও কন্যা স্বর্ণমালা বেগমের বিরুদ্ধে মৃত ফারজানার পরিবারের লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে ময়নাতদন্তের প্রেক্ষিতে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামাল হোসেন কে গ্রেপ্তার বৃহস্পতিবার (২৮ শে নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মৃত ফারজানা আক্তার উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর এলাকার শহিদুল্লাহ্ ভুইয়ার মেয়ে, হত্যা মামলাটি মৃত ফারজানা আক্তারের ভাই ইউসুফ ভুইয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় রুজু করেছেন। মামলার তদন্তের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন