সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ,ভাংচুর লুটপাট, আহত-২০ - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ,ভাংচুর লুটপাট, আহত-২০


সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ,ভাংচুর লুটপাট, আহত-২০



সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।


গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার বারদী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে।আহতদের মধ্যে ৩জনের অবস্থা আশংকাজনক। 


আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুরো বারদী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের বারদী বাজার এলাকায় নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক ও নাজমুল হক পক্ষের সাথে জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। 



এ বিরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবুর লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, টেঁটা, রামদা, লাঠিসোটায় সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে জহিরুল পক্ষের তাইজুল ইসলাম,হযরত আলী,ইব্রাহিম ও জাকিরের পক্ষের জাকির সরকার,জামালসহ ২০ জন আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।এদের মধ্যে তাইজুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। 


এদিকে সংঘর্ষের পর বারদী বাজারে জাকিরের পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ৫-৬ জনের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ২ জনের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়।



নাজমুল হক জানান,নির্বাচনের পর থেকে বারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই বিএনপির লোকজন নিয়ে বারদি বাজারে আমাদের লোকজনকে কোনঠাষা করে রাখে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। সংষর্ষের ঘটনায় আমাদের ১৫ জন আহত হয়।


বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বারদি মার্কাজ মসজিদের পাশে একটি সরকারী পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরে মাছ চাষ করে মসজিদের আয় ও ব্যয় নির্বাহ করা হয়। সম্প্রতি জাাকির সরকারের পক্ষের আমিনুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান ও মামুন নামের তিনজন ওই পুকুর লিজ নিতে উঠে পড়ে লাগে। এতে কথাকাটাকাটি হওয়ায় এক পর্যায়ে সংষর্ষের ঘটনায় আমাদের লোকজন আহত হয়। অপরদিকে, ইবু নিজ ঘরে আগুন দিয়ে নাজমুলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।


এঘটনায় ইব্রাহিম ইবুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। 


সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেবো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭