চেয়ার হারিয়ে নিরাপত্তায় ভুগচ্ছেন জহির চেয়ারম্যান, থানায় জিডি - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১

চেয়ার হারিয়ে নিরাপত্তায় ভুগচ্ছেন জহির চেয়ারম্যান, থানায় জিডি


চেয়ার হারিয়ে নিরাপত্তায় ভুগচ্ছেন জহির চেয়ারম্যান, থানায় জিডি


আজকের সংবাদ ডেস্কঃ জীবন ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন।


এ ঘটনায় বুধবার(২৯ ডিসেম্বর)বিকেলে চেয়ারম্যান জহিরুল হক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।


এর আগে সকালে চেয়ারম্যান জহিরুল হকের ভাই ওবায়দুল হক ও তার ছেলে হাফিজুল হক দোলনকে বারদী বাজারে একা পেয়ে লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে ধাওয়া করে ইবু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এসময় চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মারধর করতে উধ্যত হয় এবং হত্যার হুমকি দেয় বলে জানা যায়। 


বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক জিডিতে উল্লেখ করেন, উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দু’দফায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি মনোনয় পাননি। কিন্তু নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে কোন প্রার্র্থীর পক্ষেও ছিলেন না। নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এর মধ্যে নাজমুল হক নির্বাচিত হন। পরাজিত হয়ে ইব্রাহিম খলিল ইবু ও জাকির হোসেন নির্বাচনের দিন রাতে একত্রিত হয়ে তার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ইব্রাহিম খলিল ও জাকির হোসেন পরাজিত হয়ে জহিরুল হক চেয়ারম্যানকে দোষারোপ করে বাড়িতে গিয়ে চেয়ারম্যানের ভাই তাইজুল ইসলাম, ভাতিজা সাকিব, তানজিল, ভাইয়ের স্ত্রী বিলকিস, মুন্না ও আমেনা বেগমকে আহত হন। আহতদের ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও নির্বাচন পর্যবেক্ষনে থাকা সাংবাদিকদের গাড়িসহ প্রায় ২০-২৫ টি গাড়ি ভাংচুর করে ইবু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনার পর তৃতীয় ধাপে এ ইউনিয়নের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল মিমাংসা করে দেন।


ঘটনার প্রায় এক মাস পর বুধবার সকালে চেয়ারম্যানের ভাই ওবায়দুল হক  ও তার ছেলে হাফিজুল হক দোলন বারদী বাজারে গেলে একা পেয়ে ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে  সৈকত, রাসেল ও মানিকসহ ১০-১২ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে ধাওয়া করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মারধর করতে উধ্যত হয় এবং হত্যার হুমকি দেয়

বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক বলেন, আমি এখনো এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। আমার ও আমার জিবনের নিরাপত্তা নেই। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়ি পর্যন্ত আমার পরিবারের সদস্যদের ধাওয়া করে নিয়ে যায়। জিবনের নিরাপত্তা চেয়ে সোনারগাঁ থানায় আমি সাধারণ ডায়েরী করেছি।


অভিযুক্ত ইব্রাহিম খলিল বলেন, জহির চেয়ারম্যান তার প্রভাবে ভাতিজাকে নির্বাচিত করেছেন। তবে হুমকির বিষয়ে কোন কথা বলেননি।


সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান জহিরুল হক নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭