রূপগঞ্জে মহাসড়কের উপর লেগুনা স্ট্যান্ড, পুলিশের নামে চাঁদা আদায় - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

রূপগঞ্জে মহাসড়কের উপর লেগুনা স্ট্যান্ড, পুলিশের নামে চাঁদা আদায়



নিজস্ব প্রতিবেদক:-রূপগঞ্জে করোনাভাইরাসের সক্রমণে জনজীবন থমকে গেলেও চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায় করছে চাঁদাবাজ চক্র। এদিকে, হাইওয়ে পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর স্ট্যান্ড বানিয়ে সাড়ি সাড়ি ভাবে অবস্থান করছেন লেগুনা।


 ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অবাধে চলছে ফিটনেসবিহীন লেগুনা। এ যেন দেখার কেউ নেই। শুধু ফিটনেসবিহীনই নয়, কিশোর ড্রাইভার ও হেলপার নাবালক। এছাড়া অধিকাংশ লেগুনারই নেই রুট পারমিট,নেই লেগুনার চালকদের বৈধ লাইসেন্স ও ইনস্যুরেন্স, প্রতিটি লেগুনায় রয়েছে চলন্ত বোমা। 


 তারপরও লেগুনার যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। এসব লেগুনাগুলো উপজেলার গাউছিয়া থেকে নরসিংদী জেলার মাধবদী পর্যন্ত চলাচল করে। আর এ দিকে গাউছিয়া-মাধবদী সড়কে লোকাল বাসের সংকট থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা বাধ্য হয়েই যাতায়াত করছে ওই সব লেগুনায়। 


মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার গাউছিয়া কাঁচাবাজারের সামনে রাজনের লেগুনা স্ট্যান্ডে গিয়ে পাওয়া যায় এ সব তথ্যের সত্যতা। গাউছিয়া লেগুনা স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজ রাজন লেগুনা থেকে চাঁদা তুলার কথাটি নিজে স্বীকার করে বলেন, প্রতিদিন গাউছিয়া থেকে মাধবদী পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ টি লেগুনা চলাচল করে। এর জন্যে প্রতিটি লেগুনার চালককে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা করে। 



এছাড়া পুলিশ মান্তি হিসেবে নেওয়া হচ্ছে লেগুনা প্রতি ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা করে। রাজন আরও বলেন, প্রতি মাসে মান্তি টাকা উঠে ৪০ হাজার টাকার মতো কিন্তু ৪৪ হাজার টাকা খরচ হয়। কিভাবে হয়? প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এর মধ্যে হাইওয়ে পুলিশের টিআই সালাউদ্দিনকে ৬ হাজার ও ভূলতা ফাঁড়ির পুলিশকে ৬ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে দিতে হয়। 


 আরও এক লেগুনা চালক জানান, আমার কাছ থেকে প্রতিদিন রাজনে ১৫০ টাকা করে চাঁদা নেয় আর  প্রতিমাসে ২৫শ টাকা পুলিশ মান্তি বলে নেই। আর টাকা দিতে দেরি হলে রেকার দিয়া গাড়ি নিয়া যায়। পরে রেকার বিল দিয়া গাড়ি আনতে হয়। 


এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের টিআই সালাউদ্দিন বলেন, লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে আমরা কোনো টাকা নেই না। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা তবে এসব অবৈধ লেগুনা স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭