আজকের সংবাদ ডেস্কঃ র্যাব-১১র পৃথক অভিযানে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের চাঞ্চল্যকর রশিদ হত্যা মামলার ২ ও ৭নং এজাহার নামীয় পলাতক আসামী গ্রেফতার,আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রূপগঞ্জ থানার বরপা ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকার ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
চাঞ্চল্যকর রশিদ হত্যা মামলার ২নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৫২),রূপগঞ্জ থানার পাড়াইন এলাকার মৃত আঃ রহমান ছেলে ও ৭নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোঃ জসিম হাওলাদার (৪৫),বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার পূর্ব দেহেরগতি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামীর কাছ থেকে ১টি ১২ বোর শর্টগান, ১১টি সীসা কার্তুজ এবং সীসা কার্তুজের ১টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১ প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত ০৬/১১/২০২১ইং ০৭.৩০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার মিরকুটিরছেও সাকিনস্থ জনৈক হাবিবুর এর চায়ের দোকানের সামনে ব্যবসায়িক আধিপত্যকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেল আহমেদ ওরফে শাহারিয়ার পান্না ওরফে ভিপি সোহেল, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এর হুকুমে তার গানম্যান (দেহরক্ষী) মোঃ জসিম হাওলাদারসহ অন্যান্য আসামীরা ভিকটিম রশিদকে এলোপাথারীভাবে মারপিট শুরু করে। মারামারির একপর্যায়ে উক্ত মামলার ১নং আসামী সোহেলের হুকুমে আসামী মোঃ জসিম হাওলাদার (৪৫) তার হাতে থাকা শর্টগান দিয়ে ভিকটিম রশিদকে গুলি করে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেফতারকৃত অপর আসামী মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য আসামীরাও ভিকটিম রশিদকে গুলি করে ফলে ভিকটিম রশিদ গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে মারা যায়। পরবর্তীতে উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের নামে নিহতের বড় ভাই রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর থেকেই উল্লিখিত গ্রেফতারকৃত আসামীরাসহ অন্যান্য আসামীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ কর্তৃক নিবিড় গোয়েন্দা অনুসন্ধানের মাধ্যমে উল্লিখিত আসামীদের অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত ঘটনায় জড়িত ১নং আসামী ভিপি সোহেলসহ অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
এবিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন