সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাড়িয়ারচর এলাকায় আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ৭জন আহত হয়েছে। এ সময় বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।
গত সোমবার দুপুরে ও রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুই দফা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাড়িয়ারচর গ্রামের আওয়ামীলীগের সমর্থক সাবেক মেম্বার আব্দুল হালিম ও মো. ছারোয়ার হোসেনের সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় ৭ বছর যাবত বিরোধ চলে আসছে। গত সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আব্দুল হালিম মেম্বার তার দলবল নিয়ে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে যাওয়ার সময় মো. ছারোয়ার ও তার ভাগিনা শামীম রেজার সাথে থানা রুটের উপজেলা খাদ্য গুদামের সামনে আব্দুল হালিম মেম্বার, জসিমউদ্দিন ও নজরুলে সাথে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে । এরই জের ধরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আব্দুল হালিম মেম্বারের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনে মিলে ধারালো রামদা, টেঁটা, জুঁইত্তা,চাপাতি, লোহাররড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাতের আধাঁরে মো. ছারোয়ার এবং মো. মোক্তার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে থাকা ৬টি সিসি ক্যামেরা, ২টি মোটরসাইকেল, বাড়ির বাউন্ডারীর মেইন গেট, ঘরের দরজা, জানালা ও আলমারী আসবাবপত্র ব্যাপকভাবে ভাংচুর করে নগদ ৮লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় আব্দুল হালিম মেম্বারের লোকজনের হামলায় মো. ছারোয়ারের স্ত্রী সালমা আক্তার, মেয়ে সাদিয়া, মারিয়া ও মোক্তারের মেয়ে রিজিতাসহ উভয় গ্রুপের ৭জন আহত হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সোনারগাঁও থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে গত সোমাবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা আহত হালিম মেম্বারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে গিয়ে বলেন, এই হামলার ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান জানান, একটি মামলা নেয়া হয়েছে, অপর অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন