মিরপুর প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে ‘উন্নয়ন কন্যা শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

মিরপুর প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে ‘উন্নয়ন কন্যা শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন


মিরপুর প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে ‘উন্নয়ন কন্যা শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন





নিজস্ব প্রতিবেদক: “শেখ হাসিনা উত্তাল সমুদ্রের প্রতিকুল স্রোতের মাঝিই শুধু নন, তিনি র্বালাদেশের উন্নয়ন কন্যা। সব প্রতিকুলতাকে তুচ্ছ করে দিয়ে তিনি দেশজুড়ে বইয়ে দিয়েছেন উন্নয়নের জোয়ার, বদলে দিয়েছেন বাংলাদেশের চলমান চিত্র। শেখ হাসিনার ভাষায় : আকাশপানে উঠে যাওয়া শিখা হাতছানি দিয়ে ডাকছে ‘আয় উপরে, আরো উপরে আয়।’ আমরাও যেতে চাই আরো উপরে, উন্নয়নের শিখরে। বাঙালি জাতি মাথা উচু করে দাঁড়াবে উন্নত জাতি হিসেবে।





সত্যিই, সব হারানো একজন মানুষ যেখানে শোকে কাতর থাকেন, ভেঙ্গে পড়েন, মুষঢ়ে যান-সেখানে উল্টোচিত্র দেখতে পাওয়া যায় কেবলই শেখ হাসিনার বেলায়। তিনি যেন শোককে শক্তিতে পরিনত করে দেশ-জাতির উন্নয়ন ভাবনায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এ দেশ, এ জাতির মঙ্গল সাধনার মধ্যেই নিজের যাবতীয় শোক যন্ত্রণা মুছে ফেলার অদম্য চেষ্টা চলছে তার। ব্যক্তিগত ভাবে নিজের জন্য কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই তার, সব কিছুই জনগণের জন্য অকাতরে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যেই গড়ে উঠেছেন অনণ্য এক শেখ হাসিনা।”





গতকাল মিরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানমালায় আলোচকদের বক্তব্যে মন্তব্যে এসব কথাই উঠে আসে: ধ্বণিত প্রতিধ্বনিত হয় তা দর্শক শ্রোতাদেরও মনের দেয়ালে দেয়ালে।





প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-সংগ্রামের নানা দিক নিয়ে রচিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি জুড়েই ছিলেন শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা এবং শুধুই শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ নাট্যজন অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী। প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মিরপুর প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামের সভাকক্ষে বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম কাদের এর সভাপতিত্বে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী জেনারেল এটর্নী মোঃ জাকির হোসেন মাসুদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন, শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম, সাংবাদিক সাহিত্যিক মফিদা আকবর, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম আহসানউল্লাহ, মিশু সাহিত্যিক রহিম শাহ, রহিমা আক্তার মৌ, পিডিবিএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম ও মোঃ রসুল ইসলাম মন্ডল, এবং বইটির সম্পাদনাকারী সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন, শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম আহসানউল্লাহ, প্রধাণ অতিথি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ নাট্যজন অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী।





প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনকে সামনে রেখে বইটি প্রকাশ করা নিয়ে সম্পাদিত সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই সময়ে এই বইটি প্রকাশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, সহজ-সাবলীল ভাষায় লেখায় প্রকাশিত বইটিতে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন যাত্রা, দেশের তরে তার অজস্র ত্যাগ, নিজের জীবন, রাজনৈতিক জীবন-সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে। বইটি তথ্য ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে সবিস্তারে জানার ক্ষেত্রকে আরো সমৃদ্ধ ও সহায়তা করবে।





বইটির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডিবিসি চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরীর পাঠানো এক অভিমতে বলেছেন, বইটিতে আমাদের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক সম্ভাবনা- সবগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে তুলে এনেছেন। ইতিহাসের নেপথ্যে থাকা কিছু তথ্য বইটিতে উঠে এসেছে মন্তব্য করে ইকবাল সোবহান আরো বলেন, যারা রাজনীতি ও দেশের সম্পর্কে জানতে চায়, আওয়ামী লীগের ভিতরে ও বাইরে কী সমস্যা ছিল, এটি শুধু আমাদের জন্য নয় ভবিষ্যতে যারা বাংলাদেশের রাজনীতি করবেন তাদের জন্যও খোরাক আছে।





প্রধাণ অতিথি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ নাট্যজন অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী বলেন, বইটির মধ্যে অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। যেটি পড়ে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্ম অনেক উপকৃত হবে। আমি নিজেও উপকৃত হয়েছি, কারণ এর মধ্যে অনেক তথ্য রয়েছে যা আমারও জানা ছিল না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যদি দেশের হাল না ধরতো বা ১৫ আগস্ট যদি দেশে থাকতেন তাহলে তার পিতার মতো ভাগ্যবরণ করতে হতো। তাহলে বাংলাদেশ থাকতো না পাকিস্তান হয়ে যেত।





একজন বিশ্বনেত্রীর সম্পর্কে লেখা এত সহজ কথা না। এরমধ্যে এমন সব তথ্য রয়েছে যা বর্তমান, আগামী ও প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে ঐতিহাসিক এবং মূল্যবান দলিল হয়ে থাকবে।’বলেন, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ নাট্যজন অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী।





শেখ হাসিনার সান্নিধ্য পেয়েছেন জানিয়ে বইটির সম্পাদিত সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ বলেন, তিনি রাজনৈতিকভাবে আমাকে অত্যন্ত কাছে টেনেছেন। তার ভালোবাসায় আজ প্রগতিশীল রাজনীতিতে ভূমিকা রাখার সুযোগ পেয়েছি। শৈবব থেকে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সংগ্রামী জীবন, ৯৬ সালে প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীসহ প্রতিটি আমলসহ তার রাজনৈতিক জীবন তুলে আনার চেষ্টা করেছি। তথ্যভিত্তিক ও ঐতিহাসিকভাবে সত্য বিষয় তুলে আনার আনার চেষ্টা করেছি। আশা করি পাঠক বইটি পড়ে উপকৃত হবে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭