মাদক ব্যবসায়ী মুরগি রব জামিনে এসে ফের সক্রিয় মাদক ব্যবসায় - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯

মাদক ব্যবসায়ী মুরগি রব জামিনে এসে ফের সক্রিয় মাদক ব্যবসায়


মাদক ব্যবসায়ী মুরগি রব জামিনে এসে ফের সক্রিয় মাদক ব্যবসায়।





আজকের সংবাদ ডেস্কঃ মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশের নিত্য অভিযান চলছে। চিহ্নিত ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হাচ্ছে। জামিনে এসেই ফের সক্রিয় হয়ে পড়ছে মাদক ব্যাবসায়ীরা। পিরোজপুর এলাকায় মাদক সর্বরাহ কারীরা পুলিশের হাতে মাদকসহ আটক হলেও অধরাই রয়েছে সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের পাঞ্জত আলীর ছেলে মাদক সম্রাট মুরগী রব। এতে বাড়ছে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীর সংখ্যা, উপজেলার পিরোজপুর ও আশে পাশের এলাকায়।





মাদকের নীল ছোবলে বিপথগামী হয়ে যাচ্ছে উঠতি বয়সী যুবকরা। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক সেবক-বিক্রেতাদের ধরলেও মূল হোতারা অনেক ক্ষেত্রে থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের সম্রাট মুরগী রব একাধিক সিন্ডিকেট চক্র মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে পিরোজপুর এলাকায়। ইয়াবা ও হেরোইন নিয়ে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়া অনেক উঠতি বয়সী তরুণ গ্রেফতার হচ্ছে পুলিশের হাতে। প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে থাকা মাদক ব্যবসার মূল হোতা মুরগী রব উঠতি বয়সী যুবকদের মাধ্যমে মাদক বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয়।
উপজেলায় মাদকের আঁতুড়ঘর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রাম। গত ২৪ অক্টোবর গভীর রাতে ৪ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে পিরোজপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে সাকিবকে আটক করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল ও মুরগী রবের বাড়ির ছাদ থেকে দেশীয় তৈরী ১১টি অস্ত্র ও ৬ টি বিদেশী খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
গত ১৮সেপ্টেম্বর রাতে পিরোজপুর গ্রাম থেকে একটি টিনের সুটকেস ভর্তি ফেনসিডিলসহ মজিবুর রহমান ওরফে মজু মিয়ার ছেলে জাহিদুল নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ২৪ অক্টোবর গভীর রাতে ৪ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে পিরোজপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে সাকিবকে আটক করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল ও মুরগী রবের বাড়ির ছাদ থেকে দেশীয় তৈরী ১১টি অস্ত্র ও ৬ টি বিদেশী খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একটি সুত্র জানায়,পুলিশের দায়ের করা মামলায় সাকিবকে প্রধান আসামী ও রবকে পলাতক দেখিয়ে মাদক মামলা করা হয় সোনারগাঁ থানায়। রব উচচ আদালত থেকে জামিনে এসে ফের মাদক ব্যাবসায় সক্রীয় রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিলে পিরোজপুর এলাকায় অনেকটাই কমবে মাদব ব্যাবসা।
মাদক সম্রাট মুরগী রবের উত্থান :এক সময় ঢাকার কাপ্তান বাজারের মুরগী বাজারে খেটে খাওয়া দিনমজুরের কাজ করতো সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের পাঞ্জত আলীর ছেলে রব। হঠাৎ আলাদিনের চেরাগে ভর করে রাতারাতি মুরগীর বিরাট -ব্যবসায়ী বনে যান রব ওরফে মুরগী রব। মুরগী ব্যবসার আড়ালে রবের বিশাল মাদক-ব্যবসা কাহীনি ছিলো এলাবাসীর অজানা। এলাকার স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের টাকার লোভ দেখিয়ে মুরগী ব্যবসার আড়ালে মাদক-ব্যবসার সহযোগী হিসেবে কাছে টেনে নিতোসে। প্রথমদিকে এলাকার যুবসমাজকে নিজের টাকায় মাদক সেবন করতে দিতেন মুরগী রব। এ কারনে এলাকার উটতি বয়সের ছেলেরা ঝুঁকে পড়েছে মাদক সেবনের দিকে। এসুযোগ কাজে লাগিয়ে স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের দিয়ে মুরগী রব চালিয়ে যাচ্ছে রমরমাট মাদক(ফেন্সিডিলের)ব্যবসা। ছেলেদের স্কুল ব্যাগ দিয়ে সর্বরাহ করা হয় মাদক। মুরগী রব ফেন্সিডিল ও ইয়াবা বিক্রি করে রাতা রাতিই কোটিপতি বনে যায়। এলাকার যুবকদের প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টা ইয়াবা সেবন করিয়ে সারারাত কাপ্তানবাজারে মুরগী সাপ্লাই করাতো। আরেক গ্রুপকে দিয়ে রাতভর মাদকবিক্রি করাতেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মুরগীর গাড়িতে করে সর্বরাহ করা হয় মাদক। যাদের এখন পড়ার টেবিলে বা বইয়ের ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা তারা আজ মুরগী রবের মাদকে আসক্ত হয়ে মাদক সাপ্লাইয়ের ব্যাগ পাচার করছে। পিরোজপুর গ্রামের সাকিব, শাওন, সজল, আলী, রবিন, নাজমুল ও জাহিদকে দিয়ে বিক্রি করানো হয় মাদক। ডাকাতি ও মাদক মামলায় জেল হাজতেও যেতে হয়েছে তাদের। কিন্তু অদৃশ্য শক্তি ও টাকার জোড়ে অধরাই রয়ে গেছে মুরগী রব। তার বাড়ির চারি পাশে বসানো রয়েছে সিসিটিভি। মাদক ব্যবসার অন্তঃরালে রয়েছে রবের ভাই মান্নান মেম্বার ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭